Air India Flight Crash (Photo Credits: ANI)

আহমেদাবাদ, ১৪ জুনঃ যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ২৪২ জনকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। বৃহস্পতিবার গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেল গোটা চিত্র। বিশাল বিমান গিয়ে আছড়ে পড়ল বিমানবন্দরের অদূরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। মেঘানি নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের ছাদের উপর ভেঙে পড়েছে যাত্রী বোঝাই বিমান। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে সাংঘাতিক বিস্ফোরণ। জ্বলে ওঠে আগুন। কয়েক মুহূর্ত আগে পর্যন্ত যে যাত্রীরা লন্ডনের পথে ছিল তাঁরা এখন ঝলসানো লাশ। দলা পাকিয়ে পড়ে রয়েছে। চেনা যাচ্ছে না কাউকেই।

এমন এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কবল থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন কেবল একজন যাত্রী। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে আপৎকালীন দরজার পাশেই ছিল তাঁর আসন। দুর্ঘটনার পর সেই দরজাও ভেঙে পড়েছিল। সেখান থেকেই কোনমতে প্রাণ হাতে নিয়ে বেরিয়ে এসেছেন বিশ্বাসকুমার রমেশ (Vishwashkumar Ramesh)। নিজের পায়ে হেঁটে তিনি অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত যাত্রী তিনি।

হোস্টেলের ছাদে এখনও আটকে এয়ার ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনঃদুর্ঘটনাগ্রস্থ বিমান থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরলেন রমেশ? কোন দরজা দিয়ে বেরিয়ে এলেন? জানুন একমাত্র জীবিত যাত্রীর ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

দুর্ঘটনার সময়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলে চলছিল লাঞ্চ ব্রেক। হোস্টেলের একদম উপরের তলায় ছিল ক্যান্টিন। আর সেখানেই খাওয়াদাওয়া করছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চলছিল গল্প গুজব, হাসি ঠাট্টা। হঠাৎ এমন সময়েই মাথার উপর ভেঙে পড়ে মস্ত বিমান। খেতে খেতেই মারা গেলেন বহু চিকিৎসক। গুরুতর আহত হন অনেকে।

বিমান দুর্ঘটনার একদিন পর ঘটনাস্থলের চিত্র

হোস্টেলের বিল্ডিংয়ে এখনও আটকে রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। মৃত যাত্রী এবং বিমান কর্মীদের দেহ উদ্ধারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঝলসানো লাশ শনাক্ত করার জন্যে পরিবারের সদস্যদের DNA নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর লাশ শনাক্ত করে তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।