Air India Flight Crash (Photo Credit: ANI/X)

আহমেদাবাদ, ১২ জুলাইঃ আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার (Air India Flight Crash) ঠিক এক মাসের মাথায় সামনে এল প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট। এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB) বিমান দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের পর ১২ জুলাই, শনিবার ১৫ পাতার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টেই রয়েছে শেষ মুহূর্তে বিমানের ককপিটের দুই পাইলটের মধ্যে কী কথোপকথন হয়েছিল। কীভাবে তাঁরা বিমানের ইঞ্জিন চালু করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন, সেই ভয়ার্ত কণ্ঠ রেকর্ড হয়েছে ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে।

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, রানওয়ে ছাড়ার পরেই বিমানের দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে গিয়েছিল। ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছানো বন্ধ হয়ে যায়। জ্বালানি সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’-এ (বন্ধ) মোডে চলে এসেছিল।

দুর্ঘটনার আগে শেষ মুহূর্তে কী ঘটেছিল?

ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শোনা গিয়েছে, ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছানো বন্ধ হতেই একজন পাইলট অপরজনকে প্রশ্ন করেন, 'কেন জ্বালানি বন্ধ করে দিলে?' অপরজন জবাব দেন, 'আমি বন্ধ করিনি'।

বিমানের ইঞ্জিন চালু করার জন্যে এরপর ‘রাম এয়ার টার্বাইন’ নামে একটি বিকল্প যন্ত্র চালু করা হয়। এই যন্ত্র স্বয়ংক্রিয় ভাবে জরুরি ভিত্তিতে ইঞ্জিনে বিদ্যুৎ (হাইড্রলিক পাওয়ার) পৌঁছে দেয়।

এরপর ইঞ্জিন ২ আংশিক চালু হলেও ইঞ্জিন ১ আর কোনমতে সচল হয়নি। বিমানের গতি এবং উচ্চতা কমতে শুরু করে। পাওয়া যায়নি থ্রাস্ট। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি নিকটবর্তী একটি ডাক্তারদের হস্টেল ভবন গিয়ে ধাক্কা মারে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। আগুন জ্বলে ওঠে বিমানে।

১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং সংস্থার ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে উড়ানটিতে মোট ২৪২ জন ছিলেন। ওই বিমানেই সেদিন যাত্রা করছিলেন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। ২৪১ জনই মারা গিয়েছেন বিমান দুর্ঘটনায়। হোস্টেলের চিকিৎসক সংখ্যা মিলিয়ে ১২ জনের বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬০ (সরকারি সূত্রে)।