এবার পর্যটকরা ফের কাশ্মীরে যেতে পারবেন। (Photo Credits: IANS)

শ্রীনগর, ৬ নভেম্বর: গত মাস থেকেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জম্মু-কাশ্মীর। গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরের (Kashmir valley) পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা মূলক বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে উপত্যকায় এসএমএস পরিষেবা (SMS services) চালু হবে। অক্টোবরে পোস্টপেড মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হওয়ার সময়ই এসএমএস পরিষেবাও শুরু হয়েছিল। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই প্রশাসন ফের তা বন্ধ করে দেয়। এবার কিন্তু সত্যি সত্যিই এসএমএস পরিষেবা চালু হচ্ছে। এছাড়াও উপত্যকার বেশকিছু অংশে ব্রডব্যান্ড নেট পরিষেবা চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে। কিছু সরকারি অফিস, স্কুল ও হোটেলে থাকবে নেট পরিষেবা।

এদিকে ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপ করে কাশ্মীরে জঙ্গিদের আনাগোনা কমাবে কেন্দ্র, এই তথ্য যে কতটা গলদে পূর্ণ তা মাসখানেকের হিসেব বলে দেয়। একের পর মানুষ খুন হচ্ছে সেখানে। জঙ্গিরা বেছে বেছে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের খুন করছে। দুদিন আগেই গ্রেনেডে হানায় মারা গেলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা। আহত হয়েছেন ১৩ জন। তার কয়েকদিন আগে কুল গামের এক স্কুলের সামনে সিআরপিএফকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে উধাও হল জঙ্গিরা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই ধরতে পারেনি সেনা। উপত্যকায় খন হয়ে গেল বাঙালি শ্রমিকের দল। আতঙ্কে ১৩১ জন বাঙালি শ্রমিককে কাশ্মীর থেকে ফিরিয়ে আনা হল। মাঝে বিজেপি নেতার গাড়ি পুড়িয়ে দিল জঙ্গিরা। আরও পড়ুন-Jammu & Kashmir: কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হতে না হতেই কাশ্মীরের কুলগামে বিজেপি নেতার গাড়ি জ্বালালো জঙ্গিরা

এর আগে সোপিয়ানে একই কায়দায় হামলা চালায় জঙ্গিরা। আপেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা আক্রান্ত হন। সেই সঙ্গে সোপোরে একটি বাস স্ট্যান্ড লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ে জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মূলত উপত্যকার অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়াই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য। তাই বাইরে থেকে আসা ট্রাকচালক, আপেল বাগানের কর্মী, রাজমিস্ত্রির মতো ভিন রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের মেরে ফেলে আতঙ্কের পরিবেশ তারি করতে চাইছে। এমন চলতে থাকলে বাইরে থেকে আর কেউই জীবনের বিনিময়ে উপত্যকায় ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসবে না। ফলে জম্মু-কাশ্মীরের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, এর ফলে জঙ্গিদের কার্যসিদ্ধি হবে।