
দিল্লি, ১ মে: বিয়ের পর মাত্র ৬ দিনের মাথায় স্বামীকে হারিয়েছেন। স্বামীর শেষ বিদায়ের সময় তাই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন ভারতীয় নৌসেনার প্রয়াত আধিকারিক বিনয় নারওয়ালের (Vinay Narwal) স্ত্রী হিমাংশী (Himanshi)। দিল্লি বিমানবন্দরে যখন বিনয় নারওয়ালের দেহ নামে, সেই সময় অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন হিমাংশী। বিয়ের পর মাত্র ৬ দিনের মাথায় বিনয় নারওয়ালের মত ক্ষুরধার নৌসেনা অফিসারের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি দেশ। তাইতো বিনয়কে শেষ বিদায় জানানোর সময় হিমাংশীর সঙ্গে কেঁদে ওঠে গোটা দেশও।
পহেলগামে ( Pahalgam Terror Attack) ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় স্বামীকে হারানোর ৯ দিনের মাথায় এবার ফের দেখা গেল বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী হিমাংশীকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে হিমাংশী বলেন, পহেলগামে যা হয়েছে, তারপর মানুষ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে যান, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কথা বলুন, তা তাঁরা চান না। তাঁরা শুধু শান্তি চান। সেই সঙ্গে বিচার চান বলেও জানান প্রয়াত নৌসেনা অফিসারের স্ত্রী।
শুনুন কী বললেন হিমাংশী..
#WATCH | Karnal | "...We don't want people going against Muslims or Kashmiris. We want peace and only peace. Of course, we want justice," says Himanshi, wife of Indian Navy Lieutenant Vinay Narwal, who was killed in the Pahalgam terror attack. pic.twitter.com/LaOpBVe7z2
— ANI (@ANI) May 1, 2025
এসবের পাশাপাশি হিমাংশী আরও বলেন, কারও সম্পর্কে ঘৃণা ছড়াক, তা তিনি চান না। গোটা দেশ বিনয় নারওয়ালের জন্য প্রার্থনা করুক। যেখানেই থাকুন বিনয়, সেখানে যেন খুশি থাকেন তিনি। কোনও হিংসা, ঘৃণা ছড়াক, তা তিনি চান না বলেও মন্তব্য করেন বিনয় নারওয়ালের স্ত্রী।
শান্তি চান আর বিচার চান বলে জানান হিমাংশী...
Karnal, Haryana: On the birthday of the late Indian Navy Lieutenant Vinay Narwal, who was killed in the Pahalgam terror attack, his wife Himanshi says, "I just want the entire nation to pray for him, that wherever he is, he remains healthy and happy..." pic.twitter.com/8MdugaqmOg
— IANS (@ians_india) May 1, 2025
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরণ ভ্যালিতে পাকিস্তানি জঙ্গিরা হামলা চালায়। পরপর গুলি করে ২৬ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। যে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়, তাঁদের মধ্য ছিলেন নৌসেনার অফিসার বিনয় নারওয়ালও। ১৬ এপ্রিল বিয়ের পর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী হিমাংশীকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে যান বিনয়। কোচিতে পোস্টিং ছিলেন বিনয়। সেখান থেকে বিয়ের জন্য তিনি হরিয়ানার কারনালের বাড়িতে যান। এরপর বিয়ে করে হিমাংশীকে নিয়ে কাশ্মীরে হানিমুনে যান।
হানিমুনে গিয়ে বিনয় নারওয়ালের যে আর ফেরা হবে না, তা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি হিমাংশী। তাই বিয়ের পর সিদূঁরের রং ফিঁকে হতে না হতেই হিমাংশীকে একা ফেলে চলে যেতে হয় বিনয় নারওয়ালকে। হানিমুনে গিয়ে জঙ্গিদের গুলিতে বিনয়ের মৃত্যুর পর তাই তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে কেঁদে ওঠে গোটা দেশ।