
দিল্লি, ২ মে: পহেলগামে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terrorist Attack) পর এবার পদক্ষেপ করা হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে। জম্মু কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) কোন কোন জঙ্গি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জম্মু কাশ্মীরে লস্কর-ই-তইবা (Let) এবং জইশ-ই-মহম্মদের (Jem) কোন কোন জঙ্গি কিংবা শাখা সংগঠন সক্রিয় রয়েছে, সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে খবর।
ইন্ডিয়া টিভির খবর অনুযায়ী, লস্কর-ই-তইবার হাফিজ় মহম্মদ সইদের ছেলে তালহা এই মুহূর্তে অত্যন্ত সক্রিয়। বাবার দায়িত্ব অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে মানুষ মারার দায়িত্ব নিয়েছে তালহা।
জাকিউর-রহমান-লকভিও এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। মুম্বই হামলা-সহ একাধিক হামলায় নাম জড়ায় লকভির। বর্তমানে সেই লকভিও জম্মু কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য জোর কদমে কাজ শুরু করেছে বলে খবর।
লস্করের এই দুই প্রধান নেতার পাশাপাশি রয়েছে আরও অনেক নাম
লস্করের সাজিদ মীর ওরফে সইফুল্লা সাজিদ জাট, যার নামও মুম্বই হামলায় জড়িত। সেই সাজিদ মীরও অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে জম্মু কাশ্মীরে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজ করছে।
মহম্মদ ইয়াহ মুজাহিদ হল লস্করের মুখপাত্র। লস্করের জন্য অর্থ জোগাড় থেকে শুরু করে নতুন নতুন যুবকদের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত করতে সক্রিয় মহম্মদ ইয়াহ মুজাহিদ।
হাজি মহম্মদ আশরফ হল লস্করের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান। লস্করের জন্য টাকা তোলা এবং শাখা সংগঠনগুলিকে চাঙ্গা করাই হাজি মহম্মদ আশরফের কাজ।
আসিফ কাসমানির কাজ হল আল কায়দার সঙ্গে লস্করের যোগাযোগ আরও শক্ত করা। আল কায়দার সঙ্গে একযোগে লস্কর কীভাবে সন্ত্রাসবাদ ছড়াবে, সেই কাজই করে আসিফ কাসমানি।
জাফর ইকবাল লস্করের শাখা সংগঠন বাড়ানোর কাজ করে।
লস্করের উপতলার এই জঙ্গিদের সঙ্গে সক্রিয় সংগঠনের মাঝারি মাপের জঙ্গিরাও। যাদের মধ্যে অন্যতম আদিল ঠোকের। এই আদিল ঠোকেরকে পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পহেলগাম হামলায় যার ভূমিকা রয়েছে। হাসিম মুসাদের সঙ্গে আদিল ঠোকের নির্বিচারে পহেলগামের পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়ে তাঁদের হত্যা করে। লস্করের একাধিক শাখা সংগঠনও এই মুহূর্তে কাশ্মীরে অত্যন্ত সক্রিয় বলে জানা যাচ্ছে।
লস্করের পাশাপাশি জইশ-ই-মহম্মদের যারা সক্রিয়, তাদের মধ্যে প্রধান মাসুদ আজাহার। জইশের মুখপাত্র মহম্মদ হাসানও সক্রিয় কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোয়।
এছাড়া রয়েছে মৌলনা কারি এবং নাসিম আহমেদ। জইশের অর্থ বিভাগে রয়েছে মৌলনা সাজিদ ওসমান, মুফতি অজগর। এছাড়া সইফুল্লা সাখির, ইব্রহামি রাঠারও রয়েছে সক্রিয়। এদের পাশাপাশি মৌলনা মুফতি মহম্মদ অজগরও এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদের কাজ চালাচ্ছে বলে খবর।