নতুন দিল্লি, ৫ জানুয়ারি: গভার্নিং বডির তত্ত্বাবধানে এবার রেড মিট ম্যানুয়াল থেকে সরল ‘হালাল’ ('Halal') শব্দটি। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে এই পদক্ষেপের নেপথ্যে ছিল কিছু হিন্দু গ্রুপের অভিযোগ। বলা হয়েছিল, ‘হালাল’ শব্দটির ব্যবহারে একটি অন্যায্য বাণিজ্যিক সুবিধে পাচ্ছে মুসলিম রপ্তানিকারকরা। কৃষিজ পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিকারি এজেন্সির নতুন ম্যানুয়ালে লেখা আছে, “মূলত আমদানি রপ্তানির ব্যবসাকে চালু রাখতেই দেশে পশু জবাই করা হয়।” পুরোনো ম্যানুয়ালে লেখা ছিল, “ইসলামিক দেশগুলির চাহিদা অনুযায়ী পশু জবাই শুধুমাত্র হালাল পদ্ধতিতেই হবে।”এই ‘হালাল’ শব্দবন্ধটি নিয়ে আগেও হিন্দু ও মুসলিম রপ্তানিকারকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ফের ১৬ হাজারের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ, ভারতে খুব শিগগির শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া
হিন্দু গ্রুপের একাংশের অভিযোগ, ম্যানুয়ালে ‘হালাল’ লিখে রপ্তানিকারকদের ‘হালাল’ মাংস কিনে বিক্রি করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে কৃষিজ পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিকারি এজেন্সি। এই ঘটনা তাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে। কারণ ভারত থেকে প্রক্রিয়াজাত মাংস শুধু যে পশ্চিম এশিয়ার ইসলামিক দেশগুলিতেই যায় এমন নয়। একইভাবে ভারতের প্রক্রিয়াজাত মাংস চিন ও শ্রীলঙ্কাতেও রপ্তানি হয়। চিনে রপ্তানিকৃত মাংসের ‘হালাল’ শংসাপত্রের প্রয়োজন নেই। আর শ্রীলঙ্কায় তো ‘হালাল’ শংসাপত্র নিষিদ্ধ।