নতুন দিল্লি, ৫ মার্চ: সংসদে (Parliament) যাওয়ার পথে বিজয় চকে (Vijay Chowk) আটকানো হল কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরির (Adhir Ranjan Chowdhury) গাড়ি। সংসদ চত্বরে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। বলা হয়, সাংসদের গাড়িতে যে স্টিকার সাঁটানো আছে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সংসদে ঢোকার আগে বিজয় চকে তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। ফলে বাকি রাস্তা হেঁটে মালদহের সাংসদকে সংসদে পৌঁছতে হয়। এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। একইরকম ভাবে কংগ্রেসের আরেক সাংসদ গুরজিত সিং অজলার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। তিনিও হেঁটে সংসদে পৌঁছান। পরে এই গোটা ঘটনা জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি দিয়েছেন অধীরবাবু।
দুপুরে বাড়ি গেছিলেন অধীর। দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ ফের সংসদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বিজয় চকে পুলিশ তাঁর গাড়ি আটকে দেয়। কেন গাড়ি আটকানো হল? পুলিশের কাছে তার কারণ জানতে চান অধীর। তাঁর কথায়, ‘‘আজ আমি দুবার সংসদে আসি। বিকেল আসার সময় বিজয় চকে পুলিশ আমার গাড়ি আটকায়। তারা বলে আমার গাড়ির স্টিকারের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে।" অধীরের দাবি, ‘‘গাড়িতে যে স্টিকার লাগানো ছিল তা ২০১৯-এর। লোকসভার বিজ্ঞপ্তিতেও আছে, ২০১৯-এর স্টিকার ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৈধ থাকবে।’’ আরও পড়ুন: Coronavirus Scare: করোনাভাইরাসে আর নয় 'হ্যান্ড শেক' এবার বাঁচতে 'ফুট শেক'
তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কী চলছে দিল্লিতে? দেখে তাজ্জব হয়ে যাচ্ছি। সংসদের স্পিকারের নির্দেশে আমরা চলি। তাঁর সে অধিকার আছে। কিন্তু, যদি ভিন্ন ভিন্ন লোক নানা ধরনের নির্দেশ দেন তা হলে কোথায় যাব?’’ এই ঘটনাকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকারকেও বিঁধেছেন তিনি। বলছেন,‘‘প্রযোজনে সংসদে আমরা ১০ বার যাব। দিল্লিতে স্বৈরতন্ত্র চলছে। বেআইনি কার্যকলাপ চলছে। এক জন সাংসদকেই যদি এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় তা হলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কী হবে?’’