দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি: অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) সাীমান্ত থেকে মিরাম তারণ নামে যে কিশোরকে ধরে নিয়ে যায় চিনা সেনা, তাকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছে। লাথি, ঘুষির সঙ্গে তাকে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিন শক। অপহরণের পর ওই কিশোরের চোখ বেধে তার উপর বিভিন্ন ধরণের অত্যাচার চালানো হয়। কখনও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা হয় তাকে, আবার কখনও বৈদ্যুতিন শক দেওয়া হয়। যার জেরে বাড়িতে ফেরার পর এখনও পর্যন্ত মিরাম তারণ (Miram Taron) সুস্থ, স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি। এবার এমনই দাবি করলেন মিরাম তারণের বাবা।
গত ১৮ জানুয়ারি অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তবর্তী গ্রাম লংটা জোর থেকে অপহরণ করা হয় মিরাম তারণকে। জনি ইয়ায়িং নামে এক বন্ধুর সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গিয়েছিল মিরাম। সেখান থেকেই চিনা সেনা তাকে অপহরণ করে। জনি ইয়ায়িং কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারলেও, মিরামকে নিয়ে চিনের ভিতরে প্রবেশ করে লাল সেনা। এরপরই তার উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ।
অপহরণের ৯ দিন পর অর্থাৎ গত ২৭ জানুয়ারি মিরাম তারণকে মুক্ত করে চিনা (Chinese Army) সেনা। চিনের সেনা বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফেরার পর থেকেই মিরাম ঝটকায় রয়েছে। সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেনি বলে জানান তার বাবা। চোখের সঙ্গে হাত, পা বেধে মিরামকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়। শুধুমাত্র খাওয়ার সময় মিরামের হাত খুলে দেওয়া হত বলে জানান তার বাবা।
গত ১৮ জানুয়ারি মিরাম তারণের অপহরণের পরদিন ট্যুইট করেন অরুণাচল প্রদেশের পূর্বের সাংসদ তাপির গাও। তিনিই প্রথম মিরামের অপহরণের খবর প্রকাশে আনেন। মিরামকে যাতে শিগগিরই ভারতে ফেরানো যায়, ভারতীয় সেনা বাহিনী যাতে সেই ব্যবস্থা করে, এমনই আবেদন জানান তাপির গাও। এরপরই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয় প্রায় গোটা দেশ জুড়ে। মিরামকে অপহরণের ৯ দিন পর শেষ পর্যন্ত ভারত, চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় তাকে মুক্ত করে চিনা সেনা।