প্রাচীন ভারতে যুদ্ধের ময়দানে গুরুত্বের বিচারে ঘোড়ার পড়েই ছিল হাতির স্থান। বাংলার জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে হাতি হল মহাকাল দেবতা। তবে দক্ষিণ ভারতে এই প্রাণীটির সম্মান অনেকটাই বেশি। কেরলে (Kerala) ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানে হাতির উপস্থিতি ছাড়া সম্ভবই না। তবে এবারে নিয়মে খানিক বদল আসছে। না, হাতি বাদ যাচ্ছে না। তবে জ্যান্ত হাতির বদলে রোবট হাতিকে দিয়েই মন্দিরের যাবতীয় আচার পালন করা হবে।
হেরিটেজ অ্যানিমেল টাস্ক ফোর্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৫ বছরে কেরলে হাতির হামলায় ৫২৬ জন মারা গিয়েছে। এই ভয়ংকর পরিসংখ্যানটি মাথায় রেখেই ত্রিশুরের ইরিঞ্জাদপল্লী শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরে আচার-অনুষ্ঠানে জীবন্ত হাতির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই মন্দিরে জীবন্ত প্রাণীর ব্যবহার বন্ধ করার অঙ্গীকারের পর পুজোর কাজে একটি পিপল ফর ইথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমেলস (PETA India) ইন্ডিয়া এবং অভিনেত্রী পার্বতী থিরুভোথু মন্দিরে এই রোবোটিক হাতিটি দান করেছেন। ‘নিষ্ঠুরতামুক্ত’ পূজা–অর্চনায় এ হাতি কাজে দেবে বলে আশা করছেন তাঁরা। রোবট হাতিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইরিঞ্জাদাপল্লী রামন’। তার উচ্চতা সাড়ে ১০ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। এই হাতিতে একসঙ্গে চড়তে পারবেন চারজন। জ্যান্ত হাতির মতোই মাথা, চোখ এবং কান নাড়াতে পারে রোবট হাতি। তবে তার জন্য বিদ্যুতসংযোগ লাগে।
►కేరళలోని త్రిశూర్లో ఉన్న ఇరింజడప్పిల్లి శ్రీకృష్ణ దేవాలయంలో రోజువారీ పూజల కోసం ఏర్పాటుచేసిన రామన్ అనే రోబో ఏనుగు. pic.twitter.com/cpLOr95PV4
— DD News Andhra (అధికారిక ఖాతా) (@DDNewsAndhra) March 1, 2023
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রিশুরের এই মন্দিরে জ্যান্ত হাতি দেখতে অভ্যস্ত পূণ্যার্থীরা। কিন্তু একাধিকবার আচার-অনুষ্ঠানের সময় বন্যপ্রাণীটির অসংলগ্ন আচরণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আচার পালনে হাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই অবস্থায় রোবটিক হাতির ব্যবস্থা করল পেটা ইন্ডিয়া। রবিবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রোবট হাতিকে ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করা হয়েছে।মন্দির কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি বলেন, আশা করি অন্য মন্দিরগুলি একই পদক্ষেপ করবে। তবে তাদের মতো রোবট হাতি রাখলে সমস্যা নেই।