লকডাউন (Photo Credits: IANS)

কোটা, ২৮ এপ্রিল: মহামারী করোনায় ত্রস্ত দেশ, এই সময় চিকিৎসার গাফিলতিতে আরও এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এবার ঘটনাস্থল রাজস্থানের কোটার রামপুরা এলাকার ফতেগিরি। সেখানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হটস্পট (Hotspot Tragedy) হিসেবে ঘোষণা হয়েছে গোটা এলাকা। চলছে কার্ফিউ। সেখানকার বাসিন্দা বছর ৬৫-র এক প্রৌঢ় বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। কারণ তাঁর পরিবার নানা চেষ্টা চরিত্র করেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করতে পারেনি। তাই প্রতিবেশীদের সহায়তায় ২ কিলোমিটার রাস্তা ওই প্রৌঢ়কে একটা মালবাহী গাড়িতে চড়িয়ে তাঁকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রৌঢ়ের মৃত্য়ু হয়েছে। এই ঘটনায় হাসাপতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন মৃতের পরিবার।

অভিযোগ, এত কষ্ট করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁর চিকিৎসা করতে কোনও চিকিৎসক এগিয়ে আসেননি। হিন্দুস্থান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই প্রৌঢ়র নাম সতীশ আগরওয়াল। তিনি বাথরুমে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ছেলে ও স্ত্রী অ্যাম্বুল্যান্সের বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে এক ঘণ্টা চেষ্টার পরেও তা মেলেনি। তারপর মালবাহী গাড়িতে চাপিয়ে অসুস্থ সতীশবাবুকে লাডপুরা এলাকা পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। তারপর তাঁকে মাহারো ভীম সিং সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন- COVID-19 Cases In India: ৯৩৪ জনের মৃত্যু ছুঁয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ১ হাজার ৫৪৩ জন, মঙ্গলবার দেশে মোট করোনা আক্রান্ত ২৯ হাজার ৪৩৫

এদিকে মৃত ব্যক্তি যেহেতু করোনা হটস্পটের বাসিন্দা ছিলেন। তাই তাঁর দেহ আটকে রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের লালারসের পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্ট আসার পরই সৎকারের ভাবনাচিন্তা করা হবে বলে খবর। এদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সম্পর্কে কোটার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর বি এস তানওয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, সেখানে যেমন অ্যাম্বুল্যান্সের কোনও অভাব নেই, তেমনই মাত্র এক জায়গাতেই করোনা হটস্পট রয়েছে। তবে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তও শুরু হয়েছে।