Jail - Representational Image (File Photo)

২০, ৩০ বা যাবৎজ্জীবন কিংবা ফাঁসি নয়, মাদ্রাসা স্কুলের এক শিক্ষককে নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ১৮৭ বছরে সাজা শোনাল আদালত। মঙ্গলবার এমনই ঘটনা ঘটল কেরলের (Kerala) পকসো আদালতে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তকে ৯ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মুহম্মদ রফি। করোনা আবহে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লাগাতার এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল সে। যদিও আদালতের এই রায় নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নন মৃতার পরিবার। তাঁদের দাবি ছিল অভিযু্ক্তকে যেন ফাঁসির সাজা শোনানো হয়।

স্কুলের শিক্ষকের হাতে ধর্ষণের শিকার নাবালিকা

২০২০ সাল থেকে কান্নুড়ে (Kannur) একটি মাদ্রাসা স্কুলের কর্মরত ওই শিক্ষক বছর ১৬-এর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল। পরে তাঁকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। শেষমেশ প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে থানায় যায় নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে পাঝায়ানগাদি থানার পুলিশ আলাগোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুরু হয় তদন্ত।

দেখুন পোস্ট

দোষীকে সাজা শোনাল আদালত

এই মামলা তখন থেকেই নিম্ন আদালতে চলছিল। বুধবার এই মামলার রায় বেরোলে অভিযুক্তকে পকসো আইনের অধীনে এই মামলার শুনানি চলে। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্য, প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ১৮৭ বছর ও ৯ লক্ষ টাকার জরিমানার সাজা দেয় আদালত।