প্রতীকী ছবি(Photo Credits: Public Domain Pics | Representational Image)

ভোপাল, ১০ এপ্রিল: হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন এইমসের- একদল চিকিৎস (Bhopal AIIMS)। ফেরার পথেই ওই চিকিৎসকদের বেধড়ক পেটালো পুলিশ। আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা চিকিৎসকও রয়েছে। লাঠির ঘায়ে প্রত্যেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালের গেট থেকে বেরনোর পরে পরেই তাঁদেরকে নিষ্ঠুরভাবে লাঠি পেটা করে পুলিশ। হাসপাতাল লাগোয়া এলাকাতেই তাঁদের বাড়ি। সেখানেই ফিরছিলেন সবাই। সেই রাস্তাতেই ব্যারিকেট গড়েছিল পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। আক্রান্ত চিকিৎসকদের একজন বলেন, “আমাদের গায়ে অ্যাপ্রন ছিল, আমরা পরিচয়পত্রও দেখাই তারপরেও মারমুখী পুলিশের দল বলতে থাকে, আমাদের কারণেই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে। সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর চলতে থাকে।”

খবর পেয়ে আক্রান্ত চিকিৎসকদের উদ্ধার করে এইমসে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অনেকেই ট্রমায় ছিলেন। সেই অবস্থাতেই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। এরপরেই ভোপাল এইমসের ডিরেক্টর সরমন সিং বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও আক্রোশ নেই। এরমধ্যেই এক পুলিশকর্তা ফোন করে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার তদন্ত করতে এক কনস্টেবলকে ফিল্ডের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ভোপাল শহরের পুলিশ সুপার সাই কৃষ্ণ। তিনি বলেন, “পুলিশের কাছে খবর আসে এইমস এলাকায় সবজি বিক্রি করছে কিছু হকার। সেখানে বসার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। খবর পেয়েই দুজন কনস্টেবল ভিড় সরাতে সেখানে ছুটে যান। পুলিশ দেকেই চোঁ চোঁ দৌড় দেয় জনতাল দল। ঘটনাস্থলেই ছিল চিকিৎসকের দলটি। তাঁদের পরণে সাধারণ পোশাক থাকায় ভিড়ের থেকে আলাদা করা সম্ভব হয়নি। আর চিকিৎসকের দল থেকে সবজি কিনছিলেন না। তবে দুধ নিচ্ছিলেন।” আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: গত ১২ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৫৪৭, দেশে মারণ ভাইরাসের কবলে ৬৪১২ জন, মৃত ১৯৯

তিনি আরও বলেন, “লাঠির ঘায়ে ডিকিৎসকদের খুব বেশি আঘাত লাগেনি। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসক ও পুলিশ একই দিকে রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সমাজের এই দুই স্তম্ভের মদ্য়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।” খবর পেয়েই নিন্দায় মুখর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তিনি বলেন, “পুলিশ তিন চিকিৎসকের উপরে লাঠি চালিয়েছে। এই সময় চিকিৎসকের ভরসাতেই আমরা বেঁচে আছি। এই ঘটনা লজ্জাজনক। যারা এই কাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে পরের বার এমন ঘটনা ঘটাবার সাহস তারা না দেখায়।”