Photo Credits: IANS

এটোয়া: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এটোয়াতে (Etawah) অবস্থিত লায়ন্স সাফারিতে (Etawah Lion Safari) গত ১৮ জুলাই থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত মারা গেছে ৯টি পশু (animal)। একই জায়গায় এই ঘটনা ঘটায় দ্বিধাগ্রস্ত (baffled) হয়ে পড়েছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা (Wildlife experts)। জানা গেছে, জুলাইয়ের ১৮ তারিখ থেকে ১৪ অগাস্টের মধ্যে মৃত্যু (death) হয় ছটি সিংহ শিশুর (lion cubs)। ১২ অগাস্ট মারা যায় একটি ভাল্লুক, ১৯ ও ৩১ অগাস্ট দুটি চিতাবাঘ। এরপরই বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ করছেন পশুগুলির আশ্রয় (housed) যেখানে ছিল সেখানেই কোনও গণ্ডগোল রয়েছে। ইতিমধ্যে লখনউ (Lucknow) থেকে একজন সিনিয়র বন আধিকারিককে এটোয়াতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে।

এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ বন্যপ্রাণ উপদেষ্টা পর্ষদের (Wildlife Advisory Board) সদস্য ও দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের (Dudhwa Tiger Reserve) প্রাক্তন ওয়াইল্ডলাইফ (সান্মানিক) ওয়ার্ডেন রাহুল শুক্লা জানান, একটি মাত্র জায়গাতেই শুধু মৃত্যুগুলো হয়েছে। যেখানে তারা থাকত। এটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ওই জায়গাতে নিশ্চয় কিছু গণ্ডগোল রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে না যে ওই প্রাণীগুলোকে যেখানে রাখা হয়েছিল সেখানে ভাইরাস (virus) আছে কি না। মূলত, এটি একটি ঘেটো যেখানে প্রাণী রাখা হয়। তাই একজন মাইক্রোবায়োলজিস্টকে (microbiologist) নিয়ে আসা উচিত এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঠিক ল্যাব পরীক্ষা করা উচিত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক দশক আগে সোসাইটি ফর কনজারভেশন অফ নেচার (Society for Conservation of Nature) নামে একটি পশুপ্রেমী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে বর্তমানে সেটির সভাপতিত্ব করছেন রাহুল শুক্লা। তিনি স্পষ্টতই মৃত্যুর চারটি প্রধান কারণকে অস্বীকার করেছেন, যার মধ্যে বিষক্রিয়া, খারাপ ডায়েট, অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং জেরিয়াট্রিক সমস্যা রয়েছে। আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে খাবারের মাধ্যমে কৃমির উপদ্রবের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন। আরও পড়ুন: Andhra Pradesh: বিদ্যুৎ বিভ্রাট, রোগীর অস্ত্রোপচারে আলোর উৎস ফোনের ফ্ল্যাশলাইট