তিরুবনন্তপুরম, ১৮ নভেম্বর: তার ও তার বাবার নামে মোবাইল চুরির (Theft) মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। এই দাবি করে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের (Compensation) মামলা করল ৮ বছরের মেয়ে। তার অভিযোগ, এক মহিলা পুলিশ অফিসার মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন তাদের দিকে। জনসমক্ষে অপমান ও নিগ্রহ করা হয়েছিল। যার কারণে তাদের সম্মানহানি হয়েছিল। আবেদনে মেয়েটি বলেছে যে একাধিক আবেদন সত্ত্বেও মহিলা পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাই তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছে। মেয়েটির আবেদনে বলা হয়েছে, চুরির মিথ্যা অভিযোগের পর তাকে কাউন্সেলিং সেশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। সেই পর্বটি তাকে আজও তাড়িত করে চলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট। ৩৮ বছরের জয়চন্দ্রন এবং তাঁর মেয়ে ইসরো ইউনিটে সরঞ্জাম বহনকারী একটি বিশাল ট্রেলারের গতিবিধি দেখার জন্য মূল সড়কে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎই, রেজিথা নামের এক মহিলা পুলিশ অফিসার সেখানে আসেন তাঁর হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের খোঁজ করতে। তিনি মোবাইল চুরির জন্য জয়চন্দ্রনকে অভিযুক্ত করেন। পুলিশ অফিসার জানান, যেহেতু পুলিশের টহলদারি গাড়ির কাছে জয়চন্দ্রন দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাই তিনিই মোবাইল চুরি করেছেন। তিনি এও দাবি করেন যে জয়চন্দ্রন মোবাইলটি চুরি করে তাঁর মেয়েকে দিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই জনচন্দ্রন ও তাঁর মেয়েকে জনসমক্ষে অপমান করে উভয়কেই নিকটবর্তী থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন রেজিথা। আরও পড়ুন: Karnataka: হোস্টেলের খাবারে মরা সাপ, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ৫৬ জন পড়ুয়া
যদিও, পরে মোবাইল ফোনটি গাড়িতেই খুঁজে পান রেজিথা। পুরো ঘটনাটি ঘটে এলাকার বাসিন্দাদের সামনেই। অনেকেই এই ঘটনার কিছু ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন এবং তা ভাইরাল হয়ে যায়। ৩১ অগাস্ট জয়চন্দ্রন রাজ্যের পুলিশ প্রধান অনিল কান্তের কাছে রেজিথার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। অভিযোগ আসার পরই রেজিথাকে বদলি করা হয়েছিল। যদিও জানা গিয়েছে যে রেজিথাকে আরও সুবিধাজনক জায়গায় বদলি করা হয়েছিল। আসলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আর কোনও পদক্ষেপের আসা না দেখে জয়চন্দ্রনের পরিবার কেরল সচিবালয়ের সামনে দিনব্যাপী অবস্থান পালন করে। যদিও তাতেও টনক না নড়লে পরিবারটি আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।