CCTV Footage of Abduction (Photo Credits: X)

বেঙ্গালুরু, ১৪ এপ্রিলঃ পাঁচ বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা রাতের ঘুম কাড়ল কর্ণাটকবাসীর। এমন ভয়ঙ্কর অপরাধের জেরে অভিযুক্ত যুবকের পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে, ধৃত যুবকের ওই শিশুকে অপহরণের সিসিটিভি ফুটেজ। হুবলির একটি আবাসিক এলাকা থেকে শিশুটিকে অপহরণ করেছিল অভিযুক্ত।

জানা যাচ্ছে, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ধরা পড়েন বিহারের পাটনার বাসিন্দা অভিযুক্ত নীতেশ কুমার (৩৫)। তাঁকে থানায় নিয়ে আসার পথে তিনি পুলিশের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। চলে হাতাহাতি। পালানোরও চেষ্টা করেন তিনি। আর তখনই অভিযুক্তের উপর গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতেই মারা যান নীতেশ। তাঁর বিরুদ্ধে 'যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের' (POCSO) অধীনে ধর্ষণ ও হত্যার মামলাও দায়ের করা হয়।

অপহরণের সিসিটিভি ফুটেজঃ

হুবলি পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত শিশুটিকে কোলে নিয়ে পালাচ্ছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই পুলিশ নীতেশকে শনাক্ত করেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত শিশুটির মা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন মেয়েকে নিয়েই তিনি কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই শিশুটিকে অপহরণ করেন নীতেশ। দীর্ঘক্ষণ মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। কয়েক ঘন্টা পর কাছাকাছি একটি খালি ভবন থেকে উদ্ধার হয় শিশুর মৃতদেহ।

কীভাবে এনকাউন্টার হল?

হুবলি পুলিশ কমিশনার শশী কুমার জানান, গ্রেফতারির পর অভিযুক্তের পরিচয় যাচাই করার জন্য তাঁর বাসভবনে যাওয়ার জন্যে রওনা দেয় পুলিশ ভ্যান পথে তিনি পুলিশের উপর হামলা চালান। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে ভয় দেখিয়ে থামানোর জন্যে হাওয়ায় গুলি চালায় পুলিশ। কিন্তু তাও থামেনি নীতেশ। এরপরেই সাব-ইনস্পেক্টর অন্নপূর্ণা দু-রাউন্ড গুলি চালায় অভিযুক্তের উপর। তাঁকে গ্রেফতার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে পৌঁছানোর পরই তিনি মারা যাযন। সংঘর্র সময়ে একজন পুলিশ অফিসারও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।