নতুন দিল্লি, ২১ অক্টোবর: বুধবার হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্ট অনুসারে প্রথম পর্যায়ে ভারতে ৩০ মিলিয়ন জনগণের উপরে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক (COVID-19 Vaccine) প্রয়োগ করা হবে। এর মধ্যে তাকছেন সমানের সারিতে থেকে যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে জোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, সেইসব স্বাস্থ্যকর্মীরা। ২০২১-এর জানুয়ারি থেকে জুন সময়সীমা, ভারতে প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ হবে এর মধ্যেই। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, প্রথম পর্যায়ে ৭০ লক্ষ চিকিৎসক ও প্যারামেডিক্সদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। ৩০ মিলিয়ন জনগণের শরীরে প্রতিষেধক দিতে যা যা জরুরি তার সবকিছুর বন্দোবস্তই আমরা করে ফেলেছি। যদি বর্তমান ট্রায়ালটি সফল হয় তাহলে প্রতিষেধক যা পাওয়া যাবে তা প্রথম পর্যায়ে আগামী জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসকদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হবে। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: ৫০ হাজারের উপরে দৈনিক সংক্রমণ, ভারতে করোনাভাইরাসের গণ্ডী ছাড়ালো ৭৬.৫১ লাখ
গত ৫০ বছর ধরে ভারতে স্থায়ী টীকাকরণ চলে আসছে। এর আওতায় প্রতিবছর দেশে শিশু ও বয়স্ক মিলিয়ে প্রায় ২৫ মিলিয়নের কাছাকাছি জনগণকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। সেকারণেই আমাদের দেশে ২৮ হাজারেরও বেশি কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। যেখানে এই প্রতিষেধক সঞ্চয় করে রাখা হবে। এদিকে রাহুল গান্ধী আগেই বলেছেন, সাধারণ জনগণের আওতার মধ্যে যাতে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছায়, তার জন্য কোনওরকম স্ট্র্যাটেজি কেন্দ্র এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি। গণটীকাকরণ পরিকল্পনার আওতায় কেন্দ্র কী যথেষ্ট আর্থিক বন্দোবস্ত করেছে গতমাসেই সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা জানতে চেয়েছিলেন। অক্সোফর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো ভারতে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক সংস্থা। গত ১৫ আগস্টে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিজ্ঞানীর একবার সম্মতি দিলেই ভারতে করোনাভাইরাসের গণ টীকাকরণ শুরু হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে এই টীকা পায় তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা হবে।