পিঙ্কি কর্মকার (Photo Credits ANI and @AshokTh25895474 /Twitter)

২০১২-র লন্ডন অলিম্পিকে মশাল হাতে দৌড় শুরু করা কিশোরীর ভবিষ্যৎ যেন আচমকাই থমকে গেছে৷ সেই সেদিনের পর  দু দুটে অলিম্পিক গেমস হয়ে গেছে৷ বদলেছে খেলার দুনিয়ার প্রেক্ষাপট৷   শুধু শূন্যতেই থেকে গিয়েছেন পিঙ্কি কর্মকার (Pinky Karmakar)৷ বয়স বেড়েছে সংসারের ব্যাটন এখন তাঁর হাতে৷  ইউনিসেফের মশাল বাহিকা কিশোরী আজ অসমের এক চা বাগানের শ্রমিক৷  দৈনিক বেতন ১৬৭ টাকা৷  বৃদ্ধ বাবা ছোট দুই বোন ও এক ভাইয়ের অভিভাবক তিনি৷  তাঁর উপার্জনেই কোনওরকমে চলে সংসার৷ ২০১২-র পর গোটা একটা দশক কেটে গেছে, পিঙ্কিকে কেউ মনে রাখেনি৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েও ভুলেছে অসম সরকার৷  আরও পড়ুন-India’s Richest Village: ১৭টি ব্যাংকে রয়েছে ৫ কোটি টাকা, বিশ্বের ধনীতম এই গ্রাম কিন্তু ভারতেই

মায়ের মৃত্যুর পর ছাড়তে হয়েছে পড়াশোনা৷ আর কলেজে যাওয়া হয়নি৷ সংসার চালাতে চা শ্রমিকের কাজই বেছে নিয়েছেন তিনি৷ এতদিনে পিঙ্কি কর্মকারের উপলব্ধি, শ্রমিকের মেয়ে শ্রমিকই হয়৷ একটা সময় বিরাট স্বপ্ন দেখতেন এই অহমিয়া কন্যা৷ কিন্তু মায়ের মৃত্যু তাঁকে বাস্তবের কঠিন মাটিতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে৷ মায়ের মৃত্যুতে স্বপ্ন দেখা ভুলেছেন৷ স্কুলে এক সময় ইউনিসেফের খেলের উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালাতেন পিঙ্কি৷ সন্ধেবলায় মহিলাদের পড়াশোনা শেখাতেন৷ সেসব আজ অতীত৷ সে যাইহোক পিঙ্কির গায়ে এখন ব্যর্থতার ছাপ্পা লেগেছে৷

এখন আর কাউকেই কোনও পরামর্শ দেন না তিনি৷ তাহলেই তো সবাই জানতে চাইবে, পিঙ্কি এতকিছু করে ঠিক কী অর্জন করলেন?  পিঙ্কির দাবি, UNICEF ও সরকার একযোগে তাঁকে ভুলে গেছে৷ এখন শুধু মাত্রই চা বাগানে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে ১৬৭ টাকা নিত্য বাড়ি নিয়ে আসা ও পরিবারের দেখভাল করাই পিঙ্কির মূল লক্ষ্য৷