নতুন দিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারি: নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনি (Nirbhaya Rape and Murder Case) ফাঁসি এড়াতে কোনও সুযোগই ছাড়ছে না। ডিসেম্বর থেরে চলছে নানরকম ফন্দি। তবে দিনদুয়েক আগেই রায় দিয়ে ফাঁসি নিশ্চিত করেছে দিল্লি আদালত। আগামী ৩ মার্চ সকাল ছটায় চারজনই তিহাড় জেলে ফাঁসি কাঠে ঝুলবে। এই খবরে আশাদেবী কিছুটা সবস্তিও পেয়েছেন। তবে ফের নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। আসামী বিনয় কুমার শর্মা নাকি এই ফাঁসির খবরে একেবারে বিপর্যস্ত। নিজেই জেলের দেওয়ালে মাথা ঠুকে কপাল কেটে ফেলেছে। ১৬ তারিখে ঘটনাটি ঘটেছে। এর জের কপাল কিছুটা কেটেছ, তবে আঘাত গুরুতর কিছু নয়। নির্ভয়া ধর্ষণ ও খুনের মামালায় মোট আসামীর সংখ্যা ৬।
যারমধ্যে ৫ জন প্রাপ্ত বয়স্ক। আর এই প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একজন জেলেই আত্মঘাতী হয়েছে, যার নাম রাম সিং। তিহাড় জেলে সেই ঘটনা ঘটেছিল, এই মামলার শুনানি চলাকালীন। আজ ফের মেয়ের খুনিদের ফাঁসির খবর শুনলেন আশাদেবী। তবে তিনি ততটাও খুশি হতে পারেননি। এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে আশাদেবী বলেন, “এই নিয়ে তিনবার ফাঁসির সাজা শুনল নির্ভয়ার চার ধর্ষক খুনি। আগের দুবার নির্ধারিত দিনের আগেই ফাঁসির সাজা স্থগিত রেখেছে আদালত। নিদারুণ সংগ্রামের পর আজ অন্তত এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে আদালত ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে। আমি আশাকরি আমার মেয়ের চার ধর্ষক খুনি ৩ মার্চ ফাঁসি কাঠে ঝুলবে।” আরও পড়ুন-Nirbhaya Case: আশাদেবীর আশা পূরণ, আগামী ৩ মার্চ তিহাড় জেলেই ফাঁসি কাঠে ঝুলবে নির্ভয়ার ধর্ষকরা
Tihar Jail official: One of the death row convicts of 2012 Delhi gang-rape case, Vinay had attempted to hurt himself by banging his head against a wall in his cell, on 16th February. He had received minor injuries.
The four convicts of the case will be executed on 3rd March.
— ANI (@ANI) February 20, 2020
এদিন সকালেই এই ফাঁসিকে কেন্দ্র করে দড়ি টানাটানির পর্ব নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছিলেন নির্ভয়ার মা। নির্ভয়ার খুনিরা বার বার ফাঁসির দড়ি থেকে ফসকে যাচ্ছে। ডিসেম্বর থেকে দেশের বিচার ব্যবস্থার এই নয়া খেল দেখছেন আশাদেবী। মেয়ের নারকীয় যন্ত্রণা পেয়ে মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারেননি। ২০১২ থেকে বুকে পাথর চাপা রয়েছে। ভেবেছিলেন, সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু দিনের পর দিন সুকোশৈলে ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা রদ করে চলেছে আইনজীবীরা। যখনই তিনি আশায় বুক বেঁধে ভাবেন, এবার ফাঁসি হবে। তখন নিত্যনতুন খেল রচনা করে তা ভেস্তে দেয় আইনজীবীরা। তবুও আশায় বাঁচেন আশাদেবী।