মুম্বই, ১০ ডিসেম্বরঃ মুম্বইয়ের কুরলা এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনায় (Kurla Bus Accident) প্রাণ গিয়েছে ৭ জন পথচারীর। বৃহন্মুম্বাই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টের (BEST) বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোটা এলাকা তছনছ করেছে। বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০-৪০টি গাড়ি। আহত প্রায় ৪০ জন। মৃত সাতজনের মধ্যে রয়েছে বছর কুড়ির আফরিন শাহ। প্রথম দিন চাকরিতে যোগ দিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। সোমবার প্রথমবার অফিসে যান আফরিন। রাতে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার জন্যে অটো ধরতে যাবেন এমন সময়ে নেমে এল দুর্ভোগ। বেলাগাম বাসের তলায় পিষে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। মেয়েকে হারিয়ে শোকাহত বাবা দুর্ঘটনার জন্যে মুম্বই পুরসভাকে (BMC) দায়ী করলেন।
মৃত তরুণীর বাবার অভিযোগ, ওই এলাকায় মানুষের হাঁটার ঠিক মত জায়গা নেই। অবৈধ পার্কিং, রাস্তা জুড়ে দোকানপাট, মেট্রো রেলের কাজ এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যকলাপের কারণে জায়গাটি যানজটপূর্ণ। সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুনঃ কুরলা বাস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৬, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর দেবেন্দ্র ফড়নবিসের
সোমবার রাত ৯টা ৯ মিনিট নাগাদ মেয়ের সঙ্গে আব্দুল সেলিম শাহর শেষ কথা হয়। সেদিন প্রথমবার অফিসে গিয়েছিলেন আফরিন। ফেরার সময়ে বাবাকে ফোন করে তিনি জানান, শিবাজি নগর থেকে বাড়ি ফেরার জন্যে অটো পাচ্ছেন না। সেই শুনে আব্দুল মেয়েকে পরামর্শ দেন, একটু হেঁটে হাইওয়ের দিকে যেতে। সেখান থেকে ফেরার অটো মিলবে। ৯টা ৫৪ নাগাদ আফরিনের ফোন থেকে ফের ফোন আসে আব্দুলের কাছে। তবে ফোনের ওপারে এইবার আফরিন ছিলেন না। ছিলেন বান্দ্রার ভাভা হাসপাতালের একজন কর্মী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই মাথায় আকশ ভেঙে পড়ে আব্দুলের। ছুটে যান হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।