মুম্বই, ১৯ জুন: তিমির বমি! হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন তিমি-র বমি। সেটাই হল সুগন্ধী বিক্রেতাদের নয়নের মণি। যে তিমির বমি একটু পড়লেই সুগন্ধীতে আসে এক্স ফ্য়াক্টার। তিমি মাছের বমিকে পরিভাষায় বলে অ্যাম্বারগ্রিজ। সেই অ্যাম্বারগ্রিজ বিক্রির চেষ্টায় বানিজ্য নগরী মুম্বই থেকে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। প্রায় দেড় কিলো তিমির বমি সহ হাতেনাতে মুম্বই পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েন রাহুল দুপার নামের এক ব্যক্তি।
তার কিছু পরে একই অভিযোগে আরও এক ব্যক্তি গ্রেফতার হন। ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া তিমির বমির দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.৭ কোটি টাকা। আরও পড়ুন- সার্ভিস রিভালবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী পুলিসকর্মী
তিমির বমির সাহায্যে পারফিউম দীর্ঘস্থায়ীও হয়। স্বাভাবিক ভাবেই আকাশছোঁয়া দাম অ্যাম্বারগ্রিজের। অ্যাম্বারগ্রিস হলো মোমজাতীয় একটি পদার্থ, যা সাধারণত ক্রান্তীয় সমুদ্রে (ট্রপিকাল সি) ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। সাধারণত সুগন্ধী উৎপাদনে এই 'তিমির বমি' ব্যবহৃত হয়। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী তিমির বমি বিক্রি একেবারে নিষিদ্ধ ব্যাপার। মূলত সুগন্ধী বা দামী পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার হয়। মুম্বই পুলিশ জানায়, আগে থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ও বন বিভাগের এক যৌথ দল গত শনিবার বিদ্যাবিহার শহরতলি এলাকার কামা লেনে রীতমত ফাঁদ পেতে ধরে।
জীববিজ্ঞানীদের মতে, তিমি মাছের অন্ত্রের ভিতরে জ্বলন কমতেই একধরনের ক্ষরণ হয়ে থাকে। এর থেকেই তৈরি হল অ্যাম্বারগ্রিজ। পরে বমি বা মলের সঙ্গে তা তিমির শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আর এটি বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ভঙ্গের দায়ে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানায় মুম্বই পুলিশ। স্পার্ম হোয়েল একটি বিপন্ন প্রজাতি। অ্যাম্বারগ্রিস অ্যালকোহল, ক্লোরোফর্ম, ইথার এবং কিছু নির্দিষ্ট তেলে দ্রবণীয় একটি পদার্থ।