Photo Credits: ANI

ধানবাদ, ৮ এপ্রিল: ঝাড়খণ্ডে অবাক কাণ্ড। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক জায়গায় আচমকা হানা দিয়ে ১০ কেজি ভাং ও ৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছিল ধানবাদের পুলিশ। এরপর সেই বাজেয়াপ্ত হওয়া ১৯ কেজি গাঁজা-ভাংয়ের বস্তা রাজগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের গুদামে মজুত করে রাখা হয়। আদালতে মামলা চলাকালীন এগুলি প্রমাণ হিসেবে লাগতে পারে বলে তদন্তকারী অফিসাররা গাঁজার বস্তাগুলি রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই ঘটল মুষিক পর্ব। অভিযুক্ত শম্ভুলাল ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রাগস রাখার মামলায় আদালত যখন পুলিশকে বস্তার প্রমাণ দিতে বলল, তখন দেখা গেল বস্তা থেকে সব হাওয়া। কিচ্ছুটি নেই।

গুদামের বস্তাগুলো পুরো খালি। আদালতে পুলিশ জানাল, থানার গুদামে ইঁদুরের খুব অত্যাচার। বাজেয়াপ্ত করা সমস্ত গাঁজা এবং ভাং খেয়ে নিয়েছে ইঁদুর। আদালতে এই নিয়ে রিপোর্টও জমা দিয়েছে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। এখন মামলা যেদিকে তাতে ইঁদুরের কৃপায় শম্ভুনাথ ও তাঁর ছেলে গাঁজা উদ্ধার কাণ্ড থেকে রেহাই পেয়ে যেতে পারেন।

দেখুন খবরটি

গত ৫ বছরে ইঁদুরের পাল ১৯ কেজি গাঁজা-ভাঙ খেয়ে ঠিক কতটা নেশাপ্রবণ হয়েছে তা জানা নেই। এত পরিমাণ গাঁজা এবং ভাং কী ভাবে ইঁদুরে খেয়ে গেল! 'ডাল মে যে বোহত কিছু কালা হে' তা স্পষ্ট। নিজেদের কু কর্মের ফল ইঁদুরের ঘাড়ে চাপিয়ে পিঠ বাঁচানো হচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।