ফাইল ছবি

লখনৌ, ১০ অগাস্ট: উত্তরপ্রদেশের কুশানিগর জেলায় ১৭জন করোনা আক্রান্ত বেপাত্তা হয়ে গেলেন। আর এতেই মাথায় হাত প্রশাসনের। ওই ১৭জন যদি অন্যত্র লোকালয়ে যান, তাহলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে। এই কাণ্ডে সর্ষের মধ্যে ভূতের সন্ধানও মিলেছে।

ক দিন আগে কুশানিগর জেলার স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বিভিন্ন ব্লকে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তাতে এক অঞ্চলে নমুনা সংগ্রহের পর সরকারী ল্যাবটারিতে পরীক্ষা পর দেখা যায় বেশ কয়েকজনের কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এর মধ্যে ১৭জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন শুনে গা ঢাকা দেন। তাঁদের খোঁজ মিলছে না।

তদন্তে নেমে দেখা যায় ল্যাবটারির কর্মীরাই আগে সেইসব ব্যক্তিদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। সেই কথা শুনেই ১৭জন করোনা আক্রান্ত বেপাত্তা হয়ে যান। এরপর ওই ১৭জনের নমুনা নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টাও হয়। ল্যাবটারির কর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।

কুশিনগরের প্রধান স্বাস্থ্য অধিকর্তা সুরেশ পাটারিয়া জানান, এই জেলার রামকোলা, হাতা এবং পাদুরোনা ব্লকের ২০জনের কোভিড রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি দল গঠন করে আক্রান্তদের চিকিতসা, কনাক্ট ট্রেসিং এবং গ্রামের অন্য ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু দেখা যায় আক্রান্ত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনের মোবাইল ফোন বন্ধ। এরপর তাদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তারা কেউ নেই। করোনা আক্রান্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। এইসব আক্রান্তরা নিজেদের লুকিয়ে রাখার চেষ্টায় আরও অনেককে সংক্রমিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা।