নতুন দিল্লি, ২১ এপ্রিল: করোনার গ্রাসে এবার রাষ্ট্রপতি ভবন (Rashtrapati Bhavan)। রাষ্ট্রপতি ভবনের সাফাইকর্মীর শরীরে মারণ রোগের জীবাণু মিলতেই সেখানকার ১১৫টি পরিবারকে কোয়ারেন্টাইেন পাঠানো হল। রাষ্ট্রপতি ভবনের বেশকিছু কর্মীকে দি্লির কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হলেও বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আক্রান্ত সাফাইকর্মীর আশপাশে থাকা লোকজনের টেস্ট করা হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। ওই কর্মীর সংস্পর্শে আসা বাকিদের খোঁজ চলছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি ভবনের স্যানিটেশন কর্মীর পুত্রবধূর মায়ের মৃত্যু হয় COVID-19-এ। তাঁর শেষকৃত্যে গোটা পরিবার উপস্থিত ছিল। গোটা পরিবারকে সরকারি পরিষেবায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। যদিও পরিবারে সবারই করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে সোমবার ওই মহিলার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় আতঙ্ক ছড়ায় রাষ্ট্রপতি ভবনে।
রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে থাকা ১২৫টি পরিবারকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। ২৫টি বাড়িতে কঠোর আইসোলেশন থাকবে, বাকিরা শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে বেরতে পারবেন। এমনিতেই করোনাভাইরাসে মৃত্যু হলে যেখানে শেষকৃত্যেও পরিবারকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম নেই, সেখানে কীভাবে গ্রামের বাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার আয়োজন করা হল তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সেই অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ায় আর কারা যোগদান করেছিলেন তার খোঁজ চালাচ্ছে প্রশাসন। আরও পড়ুন-India’s COVID-19 Tally: ভারতে করোনা আক্রান্ত ১৮,৬০১, এখনও পর্যন্ত মারণ রোগের বলি ৫৯০
করোনার করাল ছায়ায় ধীরে ধীরে অন্ধকারের দিকে এগোচ্ছে ভারত। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুসারে মঙ্গলবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (coronavirus cases) পৌঁছে গেল ১৮ হাজার ৬০১-এ। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৪ হাজার ৭৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১৩৩৬ জন। সোমবারই শুধু ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে মারণ রোগকে হারিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ হাজার ২৫১ জন। দেশে মোট করোনার বলি ৫৯০ জন। সোমবারই কেন্দ্র জানিয়েছে মহারাষ্ট্র, পুনে-সহ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সত্যিই বেশ বিপজ্জনক। লকডাউন অমান্য হলে যে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে, তা নিয়ে ফের একবার দেশবাসীকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র।