গত বৃহস্পতিবার থেকে টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা রাধিকা যাদবের মৃত্যু (Radhika Yadav Murder Case) নিয়ে ক্রমেই রহস্য ঘনাচ্ছে। মৃতের বাবা অভিযুক্ত দীপক যাদব খুনের কারণ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। অন্যদিকে খুন নিয়ে তাঁর বয়ানের সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তর অমিল রয়েছে। তবে একটা বিষয় পরিস্কার যে মেয়ের উন্নতি নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল বাবা। এমনকী খুনের পর নিজের ভাই বিজয় যাদবকেও কিছু জানায়নি দীপক। যদিও খুনের আসল নিয়ে ভাই সহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের সে কিছু বলেছিল কিনা, সেটা জানার চেষ্টা করেছে তদন্তকারীরা।
রাধিকার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কী বলল পরিবার?
তিনি শনিবার বলেন, “খুনের পর দীপককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন এটা সে করেছে? সে বলে আমি কন্যাবধ করে ফেলেছি। মাথার ঠিক ছিল না, আমি মস্ত ভুল করে ফেলেছি। আমায় ফাঁসি দিয়ে দিক। এমনকী পুলিশের কাছেও এই কথাই সে বলে। আমরা এখনও কেউ বিশ্বাস করতে পারছি না, দীপক নিজের মেয়েকে খুন করেছে। এই মেয়ের জন্য ভোর ৫টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে একাডেমি নিয়ে যেত সে। এবং যতক্ষণ না ট্রেনিং হত সে বাড়ি ফিরত না। মেয়ের জন্য অনেক কিছু ত্যাগ করেছিল দীপক। রাধিকা বিভিন্ন একাডেমিতে ট্রেনিং দিত। ওঁ যথেষ্ট ভালো টেনিস খেলোয়াড় ছিল”।
দেখুন বিজয় যাদবের বক্তব্য
#WATCH | Radhika Yadav Murder case | Gurugram | Radhika Yadav's uncle, Vijay Yadav, says, "He said to me, 'Bhai, maine kanya vadh kar diya hai. Mujhe maar do.'.. He didn't reveal a reason... He said that he had lost his mind... "
Vijay Yadav said, "... Her father used to take… pic.twitter.com/FZ6JCAnIou
— ANI (@ANI) July 12, 2025
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিজয় আরও বলেন, বেশকিছুদিন ধরেই তাঁর ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। মেয়ের উপার্জিত টাকায় বাবা বসে খাচ্ছে। এমনকী তাঁর রিল নিয়েও মসকরা করত অনেকের। সেসব শুনে হতাশ ছিল সে। তবে এই কারণে মেয়েকে খুন করবে বাবা, একথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি যাদব পরিবার। প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই গুরুগ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাধিকার রক্তাক্ত দেহ। সেই সময়ই গ্রেফতার করা হয় দীপক যাদবকে। গ্রেফতারির পর দীপক বয়ান দিয়েছিল যে সে নাকি মেয়েকে পেছন থেকে গুলি করেছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী সমস্ত গুলি শরীরের সামমের দিকে ছিল। ফলে কেসটি ধীরে ধীরে জটিল হচ্ছে তদন্তকারীদের কাছে।