কলকাতা, ৯ জুলাই: টলিপাড়ার সঙ্গে মামলা চলা চিটফান্ড কাণ্ডের একটা যোগসূত্র রয়েই গিয়েছে। বিভিন্ন সময় কখনও চিটফান্ড সংস্থাগুলির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তো কখন সেই সংস্থার বিজ্ঞাপন কোনও না কোনও ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রখ্যাত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। আজ তেমনই কয়েকজনের কথা প্রতিবেদনে রইল। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল, তিনবারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ও বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম স্তম্ভ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়াল। আরও পড়ুন-Jeetu Kamal: রাতের কলকাতায় শ্যুটিং সেরে বাড়ির ফেরার পথে আক্রান্ত অভিনেতা, ঊষষীর পর এবার জিতু কমলকে হেনস্থা
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়: (Prasenjit Chatterjee) বাংলা ছবির এই দিকপাল অভিনেতা একাধারে নায়ক, চরিত্রাভিনেতা ও প্রযোজক। বাণিজ্যিক ছবি দিয়ে টলিউডে হাত পাকলেও পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রসেনজিতকে এক অন্যরূপে দর্শকের সামনে হাজির করেন। তাঁর নান্দনিক গল্প চয়ন ও পরিচালনায় নিজের কেরিয়ার প্রচ্ছন্ন দিকটি দেখার সুয়োগ পেয়ে যান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। একে একে সারে ফেলে দেন দোসর, চোখের বালি, খেলা, সব চরিত্র কাল্পনিক, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইশে শ্রাবণ, অটোগ্রাফ, গৌতম ঘোষের মনের মানুষ। এই সব মারকাটারি অভিনয়ই গ্রাম বাংলার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে এলিট সোসাইটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। সেই অভিনেতাকেই এবার তলব করল ইডি। চলতি মাসেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, প্রসঙ্গ রোজভ্যালি কাণ্ড। রোজভ্যালির বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে তিনি কাজ করেছেন, তাঁর সঙ্গে সংস্থার লেনদেন নিয়েই জানতে চাইবে ইডি। গোয়েন্দাদের ১০০ শতাংশ সহয়োগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন অভিনেতা।
তাপস পাল: (Tapas Pal) সাংসদ হিসেবে সাফল্যের থেকে দুর্ভাগ্যের ঝুলিই বেশি পূর্ণ। বিতর্কিত মন্তব্য করে দল এবং দলনেত্রীর বিরাগভাজনই শুধু হননি। এই অভিনেতা নিজের অভিনয় দক্ষতায় যা অর্জন করেছিলেন সেসব সম্মান এক ধাক্কায় মাটিতে মিশে গিয়েছে। এখন তাঁর নাম খবরের শিরোনামে এলেই শুরু হয়ে যায় কটাক্ষ। ট্রোলড হওয়া তো মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোজভ্যালির আর্থিক দুর্নীতি যাচাই করতে তাপস পালকেও ডেকে পাঠায় ইডি। তবে শুধু তলব নয়, একটা সময় পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভুবনেশ্বরেও নিয়ে যাওয়া হয়।
শতাব্দী রায়: (Shatabdi Roy) অভিনেত্রী তথা তিন বারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে কে না চেনে। অভিনয় জগতে সফল পদচারণার পর সাংসদ হিসেবেও নিজের নামযশকে অক্ষুন্ন রেখেছেন তিনি। তবে সারদা কাণ্ড যখন গোটা তৃণমূল পরিবারকেই কালিমালিপ্ত করছে তখন সেই পরিবারের সদস্য হিসেবে তাঁর গায়েও ছিটে এসে পড়েছে। চিটফান্ড সংস্থা সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। তাই সুদীপ্ত সেন ও দেবযানীকে জেরা করার আগে অভিনেত্রী সাংসদের সঙ্গে কথা বলে নিতে চাইছেন সিবিআই কর্তারা। চলতি মাসের ১২ তারিখেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁর তলব পড়েছে।