আজ কিংবদন্তী চিত্রপরিচালক ঋত্বিক ঘটকের (Ritwik Ghatak) জন্মবার্ষিকী (Birth Anniversary)। তিনি হলেন সেই চিত্রপরিচালক যিনি বাঙালিকে ভাবা প্র্যাক্টিস করতে শিখিয়েছিলেন। দেশভাগের সময়কালে ওপার বাংলার ঘটনাসমূহ বারবার তাঁর ছবিতে উঠে আসে। বাংলা ছবির পরিচালক বলতে যে তিনটি নাম সবার আগে মাথায় আসে তা হল-সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন এবং ঋত্বিক ঘটক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বারবার।
তাঁর পরিচালিত 'নাগরিক' (Nagarik) ছবিটি মুক্তি পায় ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ সালে। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কালী ব্যানার্জি, শোভা সেন, প্রভা দেবী, সতীন্দ্র ভট্টাচার্য প্রমুখ। আরও পড়ুন, অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলির জন্মদিনে মুক্তি পেল তাঁর পরবর্তী ছবি 'ধর্মযুদ্ধ'-র ফার্স্ট লুক
এরপরই ২৩ মে ১৯৫৮ তে মুক্তি পায় 'অযান্ত্রিক' (Ajantrik)। যেখানে ভাঙাচোরা জং ধরা গাড়ির সঙ্গে গাড়ির মালিকের এক অনন্য সম্পর্ক ফুটে ওঠে। যন্ত্র ও মানুষের মধ্যে যে নিবিড় ভালোবাসা গড়ে ওঠে তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন। এই ছবিটিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অভিনেতা অনিল চ্যাটার্জি। এছাড়াও অভিনয় করেছেন তুলসী চক্রবর্তী, কালী বানার্জি।
তাঁর পরের ছবি 'বাড়ি থেকে পালিয়ে' (Bari Theke Paliye)। ছবিটি মুক্তি পায় ২৪ জুলাই ১৯৫৯। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন কালী ব্যানার্জি, কেষ্ট মুখার্জি ও মাস্টার পরমভট্টারক।
এরপর মুক্তি পায় কালজয়ী সিনেমা 'মেঘে ঢাকা তারা' (Meghe Dhaka Tara)। মুক্তি পায় ১৪ এপ্রিল ১৯৬০ সালে। 'দাদা আমি বাচঁতে চাই' কথাটির গভীরতা মন ছুঁয়ে যায় লক্ষ লক্ষ দর্শকের।
এরপর বাংলাদেশের দেশভাগের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে তিনি পরপর তিনটি ছবি তৈরি করেছিলেন। 'কোমল গান্ধার' (Komal Gandhar) , 'সুবর্ণরেখা' (Subarnarekha) এবং 'তিতাস একটি নদীর নাম' (Titas Ekti Nodir Naam)। তিনটিই ছবিই তাঁকে চলচ্চিত্র জগতে আলাদা দরজা দিয়েছে। তাঁর তৈরি শেষ ছবি 'যুক্তি তক্কো ও গপ্পো'। এই ছবিতে পরিচালক নিজেও অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও ছিলেন জহর রায়, উৎপল দত্ত প্রমুখ। এছাড়াও কিছু হিন্দি ও বাংলা ছায়াছবির স্ক্রিপ্ট লেখেন।
ঋত্বিক ঘটকের জীবন প্রসঙ্গে পরিচালক কমলেশ্বর মুখার্জি 'মেঘে ঢাকা তারা' ছবিটি তৈরি করেছিলেন।