Taslima Nasrin on Ayodhya Verdict: সোশ্যাল মিডিয়ায় অযোধ্যা মামলার রায়দান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে পোস্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিনের
তসলিমা নাসরিন (Photo Credits: Facebook)

শনিবার অযোধ্যা মামলার (Ayodhya Verdict) ঐতিহাসিক রায়দান করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রায় ঘোষণার পর বলিউড অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে খেলার দুনিয়ার তারকারা সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নিজের মতামত জানিয়েছেন। সকলেই এই রায়কে সম্মান জানিয়ে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) কণ্ঠে। বরাবরই তিনি নিজের বক্তব্য খোলামেলাভাবে তুলে ধরেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবারও তার অন্যথা হল না।

সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যাতেই পাঁচ একর বিকল্প জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মন্দির নির্মাণের জন্য আগামী তিন মাসের ভেতর প্রকল্প তৈরি করে মন্দির নির্মাণের জন্য ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দিতে হবে। বরাদ্দ জমিতে মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড স্বাধীনভাবে মসজিদ নির্মাণ করবে। আরও পড়ুন, বলিউডের রূপোলি পর্দায় ফিরছেন যীশু সেনগুপ্ত, এবার বিদ্যা বালনের স্বামীর চরিত্রে

লেখিকা তসলিমা নাসরিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরোধিতা করে বলেছেন, "আমি বিচারপতি হইলে অযোধ্যার রায়টা অন্যভাবে দিতাম। ২.৭৭ একর জমি যেইখানে রাম মন্দির বানানির অনুমতি দেওয়া হইছে সেইটা সরকারকে দিতাম আধুনিক একটা বিজ্ঞান স্কুল বানানির জন্য । আর যে ৫ একর জমি দেওয়া হবে মসজিদ বানানির জন্য, সেই ৫ একর জমিও আমি সরকারকে দিতাম একটা আধুনিক হাসপাতাল আর চিকিৎসা গবেষণাকেন্দ্র বানানির জন্য। আধুনিক বিজ্ঞান স্কুলে পুলাপানেরা ফ্রি পড়বে। আধুনিক হাসপাতালেও সবাই ফ্রি চিকিৎসা পাবে।"

তবে একই সুর শোনা গেছে সলমন খানের বাবা তথা বিখ্যাত চিত্রনাট্যকর সেলিম খানের (Salim Khan) গলাতেও। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্ট মুসলিমদের জন্য যে পাঁচ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাতে মসজিদ না বানিয়ে একটি স্কুল বা হাসপাতাল তৈরি করা যেতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। এইধরণের মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। তবে এখনও অব্দি পাঁচ একর জমি গ্রহণ করা হবে কি না, এনিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর এই নিয়ে বৈঠক হবে, এরপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।