নুসরত জাঁহান। (Photo Credits: Instagram)

কলকাতা, ২৭ জুন: সেলেব্রিটিরা রাজনীতিতে এলে তাঁদের নিয়ে চর্চা চলেই। আর পাঁচজন অন্য পেশার মানুষের চেয়ে সিনেমার তারকারা রাজনীতিতে যোগ দিলে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ থাকে। আর তাই মিডিয়ার সার্চ লাইটটা তাদের ওপর বেশি থাকে। সোশ্য়াল মিডিয়াতে নেটিজেনরাও তাদের নিয়ে পড়ে থাকেন। গোটা দেশজুড়ে যেমন লোকসভা নির্বাচনের আগে সানি দেওল, উর্মিলা মাতন্ডকর, হেমা মালিনি, কিরণ খের-দের মত বলিউড তারকাদের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা হয়েছে। এটা গোটা দেশের ট্রেন্ড, আরও বেশি করে ট্রেন্ড আমাদের রাজ্য়ে।

২০১৪ লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ানোর পর দেবকে নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় খুব আলোচনা হয়েছিল। আলোচনা নয় বলা ভাল দেবকে নিয়ে ট্রোল পোস্ট, ভুয়ো খবরে ভরে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সাংসদ হওয়ার পর দেবকে নিয়ে ট্রোল পোস্টের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। দেবকে নিয়ে এবার তুলনায় অনেক কম আলোচনা হয়েছে। ফোকাস ঘুরে গিয়েছে নুসরত জাঁহান, মিমি চক্রবর্তীর দিকে। আরও পড়ুন-সংসদে প্রথম বক্তৃতা: নুসরত জাঁহানের প্রথম দাবি বসিরহাটে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের, মিমি চাইলেন উড়ালপুল

সংসদে মিমি-নুসরতের এই ছবি নিয়েই হয়েছিল বিতর্ক (Photo Credits: Twitter)

নুসরত, মিমি-কে নিয়ে ভুয়ো ভিডি পোস্টও করতে দেখা গিয়েছে। সাংসদ হওয়ার পর নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ভুয়ো পোস্ট ছেয়ে গিয়েছে। বসিরাহাটের সাংসদ নুসরত বিদেশে বিয়ে করা নিয়েও কম ভুয়ো পোস্ট-ট্রোল হয়নি। যাদবপুরের সাংসদ মিমি-র যোগা ভিডিও নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য চলছে সমানে। আসলে সেলদের ট্রোল নিয়ে এমন প্রবণতা দ্রুত ছড়াচ্ছে।

কিন্তু এমন প্রবণতা কেন? মনোবিদরা বলছেন, এক শ্রেণীর মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জন্যই এমন কাজ করছেন। সেটা নিয়ে বলার নেই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেলেদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্টের মধ্যে অনেক সময় হিংসা বা জেলাসি ফ্যাক্টার কাজ করে বলে মনোবিদরা জাানলেন। মিমি, নুসরত তো রঙ মেখে অভিনয় করে, ওরা সাংসদ হলে আমি নয় কেন! এই আজগুবি প্রশ্নটা মনে ঘুরতেই কেউ কেউ এমন পোস্ট করছেন বলে তারা জানালেন। নুসরত কতগুলো বিয়ে করেছেন, তার রূপের পিছনে আসলে পুরোটাই প্লাস্টিক সার্জারির হাত এসব পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। নেটিজেনরা লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করছেন। এক কথায় প্রার্থী, প্রচার, ভোট, সাংসদ, বিয়ে, শপথ সব মিলিয়ে ক দিনে বারবার খবরে আসছেন নুসরত। আর ততই তাঁকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘৃণা, ভুয়ো, ট্রোল পোস্ট। এখানে একটা কথাই বলার, সেলেবদের নিয়ে উত্সাহ থাকুক, নোংরামো নয়।