Sandhya Mukhopadhyay: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবন নিয়ে যে পাঁচটা কথা অনেকেই জানেন না
Sandhya Mukhopadhyay (Photo Credit: Facebook)

কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: বাংলা গানের জগতে একটা যুগের অবসান। প্রবাদপ্রতিম সঙ্গীতশিল্পী 'গীতশ্রী' সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya mukhopadhyay) প্রয়াত হলেন। মঙ্গলবারের সন্ধ্যাতেই নেমে এল রাতের আঁধার। লতা মঙ্গেশকরের পর আরও এক বড় নক্ষত্রকে হারাল দেশ। ১৯৩১ সালের ৪ অক্টোবর তাঁর জন্ম হয়। কলকাতার ঢাকুরিয়ার নরেন্দ্রনাথ ও হেমপ্রভা দেবীর ষষ্ঠ তথা কনষ্ঠ সন্তান ছিলেন। ছোট থেকেই তাঁর গলায় যেন মধু ছিল।

মাত্র ১২ বছর বয়েসেই গানের কলকাতার আকাশবাণী কেন্দ্রে গান গেয়ে সবার মন জিতেছিলেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের বিভিন্ন ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। ১৯৪৫ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। একই আধুনিক গান, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, শাস্ত্রীয়সঙ্গীত, লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, পাশাপাশি বলিউডে হিন্দি সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন। যুগের পর যুগে ধরে বাংলার কোনও শিল্পীর এত ব্যাপকতা ছিল না। আরও পড়ুন: সন্ধ্যা স্মরণে কী বললেন সেলেবরা

১) মাত্র ১২ বছর বয়েসে আকাশবাণীর 'গল্পদাদুর আসর'-এ প্রথমবার গান গেয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সেই গানটির গীতিকার ছিলেন অজয় ভট্টাচার্য। সেই বছরেই অল বেঙ্গল মিউজিক কনফারেন্স আয়োজিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ভজন বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন ১২ বছরের বয়সের ছোট্ট সন্ধ্যা। সাড়ে ১৪ বছর বয়সে 'গীতশ্রী' পরীক্ষাতেও প্রথম হন তিনি।

২) ১৯৬৬ সালে কবি, গীতিকার শ্যামল গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। সন্ধ্যার বেশ কয়েকটি গানের গীতিকার তাঁর স্বামী শ্যামল গুপ্ত। সাড়ে ১৪ বছর বয়সে ‘গীতশ্রী’ পরীক্ষাতেও প্রথম।

৩) ১৯৭১ সালে 'জয়জয়ন্তী' ও 'নিশিপদ্ম' ছবিতে গান গেয়ে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯সালে লাইফটাইম অ্য়াচিভমেন্টের জন্য ভারত নির্মান পুরস্কার পান। ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মান পান তিনি। ২০২২ সালে তাঁকে 'পদ্মশ্রী' দিতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু এতদিন সে সম্মান তাঁকে না দেওয়ায় অভিমানে পদ্মশ্রী প্রত্যাখান করেন তিনি।

৪) ১৯৫০ সালে বোম্বে যান বাংলা বেসিক আধুনিক গানের সম্রাজ্ঞী সন্ধ্যা। ১৭ টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। শচীন দেব বর্মনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তাঁর বম্বে সফর।

৫) লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল সন্ধ্যার। লতার সঙ্গে ডুয়েট সন্ধ্যা গেয়েছিলেন 'বাল পাপিহে বোল রে', 'তু বোল পাপিহে বোল'-এর মত গান। পরবর্তীকালে দু জনের বন্ধুত্ব গভীর হয়। পরবর্তীকালে সন্ধ্যার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও এসেছিলেন লতা।