Rashmika Mandanna (Photo Credit: Instagram)

নতুন দিল্লি, ২০ জানুয়ারি: গত বছর নভেম্বরের গোড়ায় বিখ্যাত অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনা-র একটি ডিপ ফেক ভিডিয়োকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন পর্যন্ত 'পুষ্পা' থেকে 'অ্যানিম্যাল' খ্যাত তারকা অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে মুখ খোলেন। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রশ্মিকার অশ্লীল ডিপ-ফেক ভিডিয়ো ভাইরাল করা হয়। ভিডিয়োটিতে রশ্মিকা না থাকলেও অন্য এক মহিলার পরবির্তে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাঁর মুখ বসানো হয়েছিল। সেই ভিডিয়ো কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে এদিন দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল।

ভিডিয়োটি দেখার পর হতাশা প্রকাশ করে রশ্মিকা মন্দনা বলেছিলেন, "সত্যি কথা বলতে, এই ধরনের ডিপ ফেক ভিডিয়োর ঘটনা শুধুমাত্র আমার জন্য নয় সবার জন্যই খুব আশঙ্কাজনক। আজকাল যেভাবে প্রযুক্তির অপব্যবহার হচ্ছে, তাতে শুধু তিনিই নন, আরও অনেকেই বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।" রশ্মিকার ডিপ ফেক ভিডিয়োটি প্রায় ৮৩ শতাংশ 'মর্ফড'ছিল। তাতে শুধু রশ্মিকার মুখটুকু নিয়ে অন্য মহিলার ছবি জুড়ে ভিডিয়োটি তৈরি হয়। রশ্মিকার ডিপ ফেক ভিডিয়ো ছড়ানোর নেপথ্যে বিহারের ১৯ বছরের যুবককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

দেখুন খবরটি

রশ্মিকার ডিপ ফেক ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, কালো পোশাকে লিফট থেকে বেরিয়ে আসছেন মহিলা। তারপর একগাল হাসি নিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন তিনি। ব্যস এতটুকুই। আসলে সেটি ছিল জারা প্যাটেল নামে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সরের। তবে ভাইরাল ভিডিওটি দেখে সেভাবে বোঝার উপায় ছিল না।

রশ্মিকার পর আলিয়া ভাট, কাজল সহ আরও বেশ কয়েকজন অভিনেত্রীর ডিপ ফেক ভিডিয়ো সামনে আসে। বিজ্ঞাপনে ব্যবহারের জন্য সচিন তেন্ডুলকরেরও ডিপ ফেক ভিডিয়ো করা হয়। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সচিনও। অভিনেতা সোনু সুদের ডিপ ফেক ভিডিয়ো ব্যবহার করে আর্থিক প্রতারণার চেষ্টা হয়। ক্রমশ দেশে ডিপ ফেক ভিডিয়োর ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে কড়া আইন আনছে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলিকে ডিপ ফেক ভিডিয়োর ভাইরাল হওয়া ও সেটি দ্রুত ডিলিট করার ব্যবস্থা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।