'অমর শিল্পী তুমি কিশোর কুমার, তোমারে জানাই প্রণাম'। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের মুকুটহীন সম্রাট, একাধারে কন্ঠশিল্পী, সুরকার, অভিনেতা, চিত্র নাট্যকার, গীতিকার, চিত্র পরিচালক, প্রযোজক...বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী 'অমর শিল্পী' কিশোর কুমারকে তাঁর ৯১ বছরের জন্মদিনে শ্রদ্ধা। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, অসমীয়া, গুজরাটি, কন্নড়, ভোজপুরি, মালয়ালম, উড়িয়া এবং উর্দু ভাষাতেও গান গেয়েছেন কিশোর কুমার। মাত্র ৯ বছর বয়সে স্কুলের ছুটি কাটাতে দাদা অশোককুমারের সঙ্গে বোম্বে এসেছিলেন কিশোর কুমার।
মাত্র ৯ বছর বয়সে স্কুলের ছুটি কাটাতে দাদা অশোককুমারের সঙ্গে বোম্বে এসেছিলেন কিশোর কুমার। 'অচ্ছুতকন্যা' ছবির সাফল্যের পার্টিতে গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেন কিশোর কুমার, এরপরই রূপোলি পর্দায় কাজ করার রাস্তা প্রশস্থ হয় কিশোর কুমারের। বম্বে টকিজের ছবি 'জিদ্দি'-তে দেবানন্দের লিপে প্রথম প্লেব্যাক করেন কিশোর কুমার, ছবির সুরকার ছিলেন খেমচন্দ প্রকাশ। ১৯৪৮ সালে কিশোর কুমারের গাওয়া প্রথম গানটি ছলি 'মরণ কি দুয়ারে কিউ মাঙ্গু'। গায়ক হিসেবে পরিচিতি থাকলেও বাপ রে বাপ, চলতি কা নাম গাড়ি, হাফ টিকিট, পড়োশন, হাঙ্গামা, প্যায়ার দিওয়ানা-সহ একাধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন কিশোর কুমার।
মধ্যপ্রদেশের গাঙ্গুলি পরিবারে জন্ম কিশোর কুমারের, তাঁর আসল নাম আভাস কুমার গাঙ্গুলি। রাজকুমারী, অমানুষ, আনন্দ আশ্রম এবং ওগো বধূ সুন্দরী-সহ একাধিক বাংলা ছবিতে উত্তম কুমারের লিপেও গান গেয়েছিলেন তিনি। কিশোর কুমার ছিলেন এমন একজন প্রতিভাবান মানুষ, যিনি শুনে শুনে গান গলায় তুলে নিতেন।