আপাতত হেফাজতেই থাকছেন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তী বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয় রিয়ার বিচারবিভাগীয় হেফাজত। বিশেষ একটি নার্কোটিক্স ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইন, ১৯৮৫, আদালত এই রায় দিয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর রিয়াকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো।
এর আগে ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন রিয়া। সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় একটি ড্রাগ সম্পর্কিত মামলায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়। সৌভিক সহ এই মামলায় গ্রেফতার অন্যান্যদের বয়ানের ভিত্তিতে রিয়াকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সৌভিক, সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং পরিচারক দীপেশ সাওয়ান্তকে মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরা করা হয়, জানার চেষ্টা হয়, যে ড্রাগ চক্রের কথা বলা হচ্ছে, তাতে তাঁর ভূমিকা কতটা ছিল। আরও পড়ুন, বলিউডের মাদকচক্রে এবার দীপিকা পাদুকোনের নাম, তোপ দাগলেন কঙ্গনা
এই মামলায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা কোয়ান-র সিইও-কে তলব করা হবে। সুশান্তের ট্যালেন্ট ম্যানেজার জয়া সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনসিবি। গ্রেফতার হয়েছে মুম্বই ও গোয়ার কয়েকজন ড্রাগ পাচারকারীও। বলিউডের মাদকচক্র নিয়ে যে বিতর্ক সক্রিয় হয়ে রয়েছে এবার তারই মধ্যে উঠছে অভিনেত্রী দীপিকা পাদুকোনের (Deepika Padukone) নাম। উঠে এসেছে শ্রদ্ধা কাপুর, রাকুল প্রীত, সারা আলি খান, দিয়া মির্জার নামও। কিছু দিনের মধ্যেই এই অভিনেত্রীদেরও তলব করা হতে পারে।