বলিউডের মাদকচক্র নিয়ে যে বিতর্ক সক্রিয় হয়ে রয়েছে এবার তারই মধ্যে উঠছে অভিনেত্রী দীপিকা পাদুকোনের (Deepika Padukone) নাম। বি-টাউনের মাদক ব্যবসায় দীপিকার নাম উঠতেই টুইটারে রীতিমতো ট্রেন্ডিং তিনি। এমন একটি বেআইনি বিষয়ে অভিনেত্রীর জড়িয়ে থাকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তাল নেটিজেনরা। সুযোগবুধে বিষয়টি নিয়ে মতামত দিতে টুইটারে হাজির অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। মাদক নেওয়ার যে গুজব উঠেছে দীপিকার বিরুদ্ধে তানিয়ে তোপও দাগেন তিনি। সোমবার রাতে একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের দাবি এবার বলিউডের মাদক যোগের অভিযোগে দীপিকাকে ডেকে পাঠাতে পারে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। তারপরেই টুইটারে সরব হয়েছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, “দীর্ঘ মাদকাসক্তি অবসাদের কারণ। সমাজের তথাকথিত উচ্চ সম্প্রদায়ের তারকা-সন্তানরা, যারা নিজেদের সেরা ভাবে, যাদের বেড়ে ওঠা ভাল পরিবেশে, তারাই ম্যানেজারের কাছে জানতে চায়, মাল আছে কি?”
Repeat after me, depression is a consequence of drug abuse. So called high society rich star children who claim to be classy and have a good upbringing ask their manager ,” MAAL HAI KYA?” #boycottBollywoodDruggies #DeepikaPadukone https://t.co/o9OZ7dUsfG
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 21, 2020
সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর নিজের অবসাদের কথা ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন দীপিকা। তখনও তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। ‘অবসাদের নামে ব্যবসা চালাচ্ছে’ এমন মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। বলিউড তারকাদের মধ্যে নিজের অবসাদ নিয়ে প্রথম মুখ খোলেন দীপিকা। তখন তিনি লিখেছিলেন, ‘রিপিট আফটার মি: ডিপ্রেশন ইজ ট্রিটেবল’। অর্থাৎ, অবসাদের চিকিৎসা হয়।” এদিন তারই প্রত্যুত্তোর দেন কঙ্গনা। টুইটের শুরুতে লেখেন, ‘রিপিট আফটার মি: দীর্ঘ মাদকাসক্তি অবসাদের কারণ।’ আরও পড়ুন-Delhi Metro Rail Corporation: মাস্ক পরেনি, গত ৯ দিনে ২ হাজারেরও বেশি যাত্রীকে জরিমানা দিল্লি মেট্রোর
জানা গিয়েছে, তদন্তেই দীপিকার নাম এসেছে করিশ্মা নামের এক জনের সঙ্গে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সূত্রে। তাঁকে বুধবার এনসিবি ডেকে পাঠিয়েছে বলে খবর। তাঁর নাম মিলেছে সুশান্তের ঘনিষ্ঠ জয়া সাহার সূত্রে। যাঁকে সোমবার জেরা করেছে এনসিবি। মঙ্গলবারও করবে। প্রসঙ্গত, করিশ্মা জাতীয় পুরস্কার জয়ী প্রযোজক মধু মন্টেনার ট্যালেন্ট হান্ট সংস্থায় কাজ করেন। যে সূত্রে মন্টেনাকেও ডেকে পাঠাবে এনসিবি। কেননা বলিউড তারকাদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এনসিবির হাতে এসেছে। সেখানে ‘ডি’ এবং ‘কে’ আদ্যাক্ষরের দু’টি নামের কথা জানা যায়। মাদক প্রসঙ্গে তাঁদের মধ্যে একাধিক বার কথা চালাচালি হয়েছে বলে দাবি করে এনসিবি। এর পরেই শোরগোল পড়ে। কে এই ‘ডি’? ‘কে’ই বা কে? বলিউডের একাংশের দাবি, ‘ডি’ আসলে দীপিকা পাদুকোন। আর ‘কে’ হচ্ছেন করিশ্মা। ‘কে’কে বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ‘ডি’ অর্থাৎ দীপিকাকেও সমন পাঠানো হবে বলে খবর। করিশ্মা কাজ করেন ‘কওয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি’তে। সেই সূত্রেই তাঁর দীপিকার সঙ্গে কথা হত। কারণ, মন্টেনার ওই সংস্থায় দীপিকার ম্যানেজার ছিলেন করিশ্মা।ঘটনাচক্রে, মন্টেনার একটা টলিউড যোগও আছে। তবে তার সঙ্গে মাদকের কোনও যোগ নেই।