মাের সহ্গে জাহ্নবী(Photo Credit: Janvi Kapoor Instagram)

২০১৮-র ২৪ ফেব্রুয়ারি বলিউডের চাঁদনির চলে যাওয়ার দিন। মুম্বই থেকে অনেক দূরে দুবাইতে একেবারে নির্বান্ধব অবস্থায় শ্রীদেবীর রহস্য মৃত্যু বলিউডকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল। দেখতে দেখতে দুটো বছর কেটে গেল। বড় মেয়ে জাহ্নবী কাপুর (Janhvi Kapoor) তখন ডেবিউ ছবি ‘ধাদক’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। মায়ের মৃত্যুর খবর তাঁর কাছে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো দুর্ঘটনা ছিল। তবুও নিজের মনকে প্রবোধ দিয়েছিলেন। মা চলে গেলও তাঁকে থাকতে হবে, বলিউডে পায়ের তলার মাটিকে শক্ত করতে হবে। তাই সমস্ত কান্না বুকে চেপেই সেদিন সেটে গিয়েছিলেন। শুটিংয়েও আপত্তি করেননি। কান্নাকে যেন কিছুক্ষণের জন্য মনের মাঝেই তালাবন্ধ করেছিলেন জাহ্নবী। মাকে হারানোর এই যন্ত্রণা আজীবনের সঙ্গী হয়ে গেল।

মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়েও কাজ করেছেন, এই ঘটনা তাঁকে অনেক শক্ত করে গড়ে দিলেও এই শূন্যতা আর কোনওভাবেই পূর্ণ হওয়ার নয়। শ্রীদেবীর দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে কাপুর পরিবার। জাহ্নবী কাপুর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করলেন মায়ের সঙ্গে কাটানো সেরা মুহূর্ত। শৈশবে মায়ের সঙ্গে সাদাকালো একটি ছবি, ক্যাপশনে ‘মিস ইউ এভরিডে’। তবে প্রিয় জাহ্নবী আপনি একা নন, আমরা প্রত্যেকেই তাঁকে ভীষণভাবে মিস করছি। গোটা দেশ ২০১৮ ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রীদেবী হারানোর দুঃখে বিহ্বল। দুর্ভাগ্যবশত প্রিয় সন্তানের ডেবিউ ফিল্ম দেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। তবে একজন পারফর্মার হিসেবে জাহ্নবীর গড়া ওঠা শ্রীদেবীকে গর্বিত করবে। আরও পড়ুন-Mika Singh’s Manager Died: আত্মঘাতী মিকা সিংহের ম্যানেজার! ঘনীভূত রহস্য

 

View this post on Instagram

 

Miss you everyday

A post shared by Janhvi Kapoor (@janhvikapoor) on

এর আগেও যতবার মায়ের বিয়োগব্যথা নিয়ে মুখ খুলেছেন তখনই তিনি বলেছেন, এখনও মাকে হারানো দুঃখ তাঁকে ছেড়ে যায়নি। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন না মা নেই। এখনও তিনি সেই শকের মধ্যেই রয়েছেন। “মাকে হারানোর দুঃখ ভোলার নয়। ওই সময়কার তিন চারটে মাসের কিছুই স্মৃতিতে নেই। তবে এটা বেবে জাহ্নবীর বা লাগে যে তাঁর পাশে রয়েছেন অর্জুন ও আনসুলা কাপুর। দিনের শেষে তাঁদের শরীরে একই রক্ত বইছে। তাঁরা ভাইবোন। ওই চারমাসের কিছু মনে করতে পারেন না। তবে একটা দিন মনে আছে যেদিন হর্ষ ভাইয়ার (অনিল কাপুরের ছেলে) ঘরে বসেছিলেন জাহ্নবী। সেখানেই তাঁর কাছে এসে বসেন অর্জুন ভাইয়া ও আনসুল দিদি। সেদিন মনে হয়েছিল, চলো আমি ঠিক থাকব। আসলে কাপুর পরিবারের একতা সবকিছুর থেকে শক্তিশালী।”