মিকা সিং (Photo Credits: Twitter)

মুম্বই, ২৩ ফেব্রুয়ারি: আত্মঘাতী গায়ক মিকা সিং'র (Mika Singh) ম্যানেজার সৌম্যা জোহেব খান (Saumya Joheb Khan)। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চলতি মাসের ৩ তারিখ মুম্বইয়ের অন্ধেরিতে (Andheri, Mumbai) মিকার স্টুডিওতেই আত্মহত্যা করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সৌম্যা।

৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হলেও প্রথমে পুলিশি অনুসন্ধানের স্বার্থে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি মিকা এবং তাঁর টিমের বাকি সদস্যরা। স্টুডিওর লিভিং রুম (Leaving Room) থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। অন্ধেরিতে চারটি বাংলো রয়েছে মিকার। সেগুলির একটির প্রথম তলে থাকতেন সৌম্যা। পুলিসের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খেয়েই আত্মহত্যা করেছেন সৌম্যা খান। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী এমনটাই জানা গিয়েছে। কিন্তু সৌম্যার আত্মহত্যার নেপথ্যে মিকা সিং কিংবা কোনও ব্যক্তিগত টানাপোড়েন রয়েছে কিনা, সেই সন্দেহও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ। মৃত্যুর কারণ নিয়ে যদিও এখনও কোনওরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি জনপ্রিয় গায়ককে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন মিকা। কিছু দিন আগে সৌম্যার একটি ছবি পোস্ট তাঁর মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করেন। মিকা লেখেন, “সৌম্যা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফেলে গিয়েছেন তাঁর সমস্ত স্মৃতি। যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।” সৌম্যা জোয়েব খানের মৃতদেহ আপাতত তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারের হাতে। পঞ্জাবেই হবে তাঁর শেষকৃত্য। তবে ভারসোভা থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সৌম্যার মৃত্যুর সঙ্গে মিকার কোনও যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে হয়নি। সম্ভবত অবসাদে ভুগছিলেন। সেই থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই মনে হচ্ছে। কিন্তু কেন, ঠিক কোন পরিস্থির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন মিকা সিংয়ের ম্যানেজার সৌম্যা খান, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুন: Raveena Tandon: ছেলেদের প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে সমালোচনা হয় না কেন? ক্ষোভ বলিউড অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডনের

 

ইনস্পেক্টর পি ভোষলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিকার ওই স্টুডিওর দোতলায় থাকতেন সৌম্যা। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ স্টুডিয়োর কয়েকজন কর্মী কিছু কাজে দোতলায় যান। সেখানেই সৌম্যার নিথর দেহ (Dead Body) পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।