নতুন দিল্লি, ২৪ জুন: ২০০৬ সালে অনুরাগ বসু পরিচালিত গ্যাংস্টার সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে কেরিয়ার শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াতের (Kangana Ranaut)। ১৮ বছর এবার জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী থেকে নেত্রী, নায়িকা থেকে সাংসদ। অভিনেত্রী হিসেবে কখনও হিট, কখনও বড় পুরস্কার, কখনও ফ্লপ, কখনও আবার সুপার ফ্লপ সিনেমা দিয়ে সাজানো বলিউডে কঙ্গনার কেরিয়ার। তবে সিনেমার থেকে বেশী বিতর্কে জড়িয়েছেন। অভিনয় প্রতিভার সুবিচারের চেয়ে সহকর্মীদের ওপর খামোকা দোষারোপ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। জাতীয় পুরস্কার জয়ী কঙ্গনা এবার তাঁর নতুন জীবনে ইনিংসে নামলেন। অভিনেত্রী কঙ্গনা এবার সরকারীভাবে সাংসদ হিসেবে ইনিংস শুরু করলেন। প্রথমবার রাজনীতিতে নেমে ছক্কা হাঁকিয়ে সংসদে বসে পড়লেন কঙ্গনা। হেমা মালিনীর পর আরও এক বলিউড নায়িকা এখন সংসদে আছেন। প্রসঙ্গত, গত চণ্ডিগড়ের গত দুবারের সাংসদ কিরণ খেরকে এবার আর প্রার্থী করেনি বিজেপি।
এদিন, ১৮তম লোকসভার প্রথম দিনে সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন হিমাচল প্রদেশের মেয়ে কঙ্গনা। মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিং-কে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার ভোটে জেতেন কঙ্গনা। ভোট প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউডের কুইন। তবু মাটি কামড়ে প্রচারে করেছিলেন। যদিও তার প্রচারে বিতর্কই বেশী হয়েছিল। ভোট প্রচারে খুচরো বিতর্ক উপহার দেওয়া, যুক্তিহীন কথা বলে ট্রোলের মুখে পড়লেও দলীয় সংগঠনের জোরে জিতে যান বলিউডের কুইন। সংসদে প্রথম দিনে শাড়ি পরে মিষ্টি হাসিতে সবার মন জেতার চেষ্টা করলেন কঙ্গনা। সব ইস্যুতে মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির টিকিট পাওয়ার পর প্রচারে নিজের জন্য পরিশ্রম করেন কঙ্গনা। তবে ভোটে জয়ের পর চণ্ডিগড় বিমানবন্দরে এক মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর কাছে চড় কাণ্ডে অস্বস্তি বেড়েছে কঙ্গনার। তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ হল দলের কঠিন সময় হিমাচল তার গড় ধরে রাখা। কঙ্গনা আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি এখন আর তার অভিনয়ের কেরিয়ার নিয়ে ভাবছেন না, এখন তিনি পুরো সময়ের রাজনীতিবিদ হিসেবে মন দিতে চান। সানি দেওল, মিমি, নুসরত-রা যেটা পারেননি, সেটা কঙ্গনা পারবেন কি না সেটাই দেখার।
দেখুন ছবিতে
BJP MP Kangana Ranaut takes oath as a member of the 18th Lok Sabha. pic.twitter.com/ktQtOZhSAO
— ANI (@ANI) June 24, 2024
বলিউডে এখনও পর্যন্ত কঙ্গনার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'তেজস্ব'মেগা ফ্লপ সিনেমার লজ্জার নজির গড়েছে। তার আগে কঙ্গনার 'চন্দ্রমুখি ২', 'ধাক্কাড়'-ও বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। গত পাঁচ বছরে কঙ্গনার হিট সিনেমা একেবারেই ছিল না। বেশ কয়েক বছর ধরেই অভিনয়ের কেরিয়ারে ভাটা চলছিল তাঁর। কিন্তু মোদী, বিজেপির প্রশংসা তুঙ্গে তুলে রাজনীতির কেরিয়ারে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে জনতার আশীর্বাদ পেয়েছেন কঙ্গনা। এবার সেটা ধরে রাখার পালা। সাংসদ হয়ে এখন আর চড়া দাগের কথা বলে প্রশংসা পাওয়া যাবে না। মান্ডিতে কংগ্রেস নিজেদের গুছিয়ে নিলে কঙ্গনা সমস্যায় পড়বেন, সেটা বুঝতে পেরেই তিনি ঘোষণা করেছেন নিয়মিত তিনি এলাকায় যাবেন।