লাহোরের (Lahore) একটি কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, কলেজ ক্যাম্পাসের এক নিরাপত্তারক্ষী এই ঘটনাটি ঘটিয়েছিল। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই পঞ্জাব প্রদেশে বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুড় চালায় কলেজের একাংশে। আর সেই বিক্ষোভের আগুন বর্তমানে ছড়িয়েছে পাকিস্তান অধ্যুষিত গুজরাটেও। দফায় দফায় পুলিশ থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ হচ্ছে। আর তাঁদের হটাতে গিয়ে পুলিশ ও জনতার মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধছে বলে খবর। আর এই দুই পক্ষের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
পুলিশসূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তি লাহোর কলেজের ক্যাম্পাস ১১-এর নিরাপত্তারক্ষী। গত বুধবার ক্যাম্পাস ১১-এ একদল জনতা তাঁকে বেধরক মারধর করে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর ওই নিরাপত্তারক্ষীর ওপর হামলা চালানোর পর ক্যাম্পাসে যথেচ্ছ ভাঙচুড় চালানো হয় এমনকী আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তবে কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার লাহোর কলেজের একটি ক্যাম্পাসের বেসমেন্টে এক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ছিল। শনি ও রবিবার ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় সোমবার কলেজ খুলতেই বেসমেন্টে দেহটির খোঁজ পায় কলেজেরই পড়ুয়ারা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ জানায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার কলেজ ছাত্রছাত্রীদের চাপে ক্যাম্পাসে পুলিশ আসে। এবং দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীকালে চরম অশান্তি বাধে পঞ্জাব এলাকায়।