মার্কিন মুলুকে ৯/১১ সন্ত্রাসবাদী হামলা File Image | (Photo Credits: Wikimedia Commons)

ওয়াশিংটন, ১১ সেপ্টেম্বর: ১১ সেপ্টেম্বর, এই তারিখটুকুই আতঙ্কের শীর্ষে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। দেখতে দেখতে ২ দশকের সময়কাল ছুঁতে চলল বিশ শতকের অন্যতম সন্ত্রাসবাদী হানার দিনটি। ২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর গুঁড়িয়ে গিয়েছিল মার্কিন মুলুকের টুইন টাওয়ার্স। পেন্টাগনের আকাশে সেদিন কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছিল, আর ছিল অসহায় মানুষের আর্তনাদ। জঙ্গি হানায় বিশ্ব বাণিজ্যে কেন্দ্রের ধ্বংসসাধনের হাত ধরে সন্ত্রাসবাদ লিখল নতুন ইতিহাস। নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ছে দুই আত্মঘাতী বিমান, ধোঁয়ায় ঢাকছে চতুর্দিক। মানুষের মনে এখন জীবন্ত সেদিনের সেই ভিডিও ফুটেজ। ৯/১১-র হামলার (9/11 Attacks) দায় সেই সময়কার অন্যতম জঙ্গি গোষ্ঠী আলকায়দা। আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনই ছিল এই হামলার মূল চক্রী।

মার্কিন মুলুকে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিরা সেদিন চারটি বিমান হাইজ্যাক করেছিল। তারমধ্যে দুটি বিমান বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে ভেঙে পড়ে। ধ্বংসপ্রাপ্ত এই দুটি ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ফ্লাইট ১৭৫, অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ১১। অন্যদিকে অ্যামেরিকান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৭৭ ভেঙে পড়ে পেন্টাগনে। চতুর্থ বিমানটি ভেঙে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার পিটসবার্গের এক মাঠে। চতুর্থ বিমানের যাত্রীদের সঙ্গে অপহরণকারী জঙ্গিদের হাতাহাতি শুরু হয়েছিল মাঝ আকাশেই। তার জেরে বিমানটি পিটসবার্গের এক মাঠে ভেঙে পড়ে। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের দুই টাওয়ার ধ্বংসের সঙ্গে মানুষের যে স্মৃতি জড়িয়ে আছে, তাই ভিডিওতে এমবেড হয়েছে। মিনিটের মধ্যে মার্কিন মুলুকের গর্ব টুইন টাওয়ার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল।

৯/১১-র হানায় সেদিন কমপক্ষে ৩০০ হাজার মানুষের প্রাণ যায়। মৃতরা শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই নন, ছিলেন ৭৮টি দেশের নাগরিক। হামলার ঠিক দশবছর বাদে মার্কিন নেভি সিল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে।