Donald Trump, Narendra Modi (Photo Credit: X)

জো বাইডেনের নরম নীতি এখন এখন অতীত। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকায় এখন রোজই হয় দেশ থেকে তাড়ানো বা ট্যারিফ/শুল্ক চাপানোর হুমকি। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্টের সিংহাসনে বসেছেন দিন দশেক হল, তারই মধ্যে নিজের মুলুকে তো বটেই বিশ্বের বেশ কিছু দেশকেও সরাসরি হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকির মুখে এবার ব্রিকস। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা-কে নিয়ে গঠিত হওয়া ব্রিকস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প শক্তি হওয়ার চেষ্টা করছে। সেই লক্ষ্যে গত বছর ডিসেম্বর ব্রিকস সম্মেলনে মার্কিন ডলারকে টক্কর দিতে 'ব্রিকস মুদ্রা'আনার বিষয়ে উদ্য়োগ নেয়। ব্রিকস মুদ্রা চালু করা নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রয়াসটা ছিল রাশিয়া ও ভারতের।

ব্রিকস মুদ্রায় হুমকি

বাইডেন জমানায় হওয়া সেই সম্মেলনে 'ব্রিকস মুদ্রা'-র কথা কানে গিয়েছিল ট্রাম্পেরও। আর ক্ষমতা বসেই ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলিকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বললেন, " ডলারকে সরানোর চেষ্টা যেসব দেশেরা নেবে,তাদের ওপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ বা শুল্ক আরোপ করা হবে।" মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপালে সেই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্যে অবশ্যই বড় ফারাক পড়বে। যদি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর পরে দাবি করেছিলেন, ব্রিকস মুদ্রা চালু করা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই ব্রিকস সম্মেলনে নেওয়া হয়নি।

ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি

যেসব দেশের ওপর ট্রাম্পের হুমকি

ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর চিনের ওপর ট্য়ারিফ বা শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি পড়শি দেশ মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বা পণ্য কর চাাপনোর হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই হুমকি দিয়ে মেক্সিকো, কানাডার মত দেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও ট্রাম্পের ট্যারিফ হুমকি তার নিজের দেশেই সমালোচিত হচ্ছে। কারণ মেক্সিকো, কানাডার মত দেশের পণ্যে ২৫ শতাংশ 'ট্যারিফ'বা শুল্ক চাপানো হল, তার সবচেয়ে বড় প্রভাব মার্কিনীদের ওপরেই পড়বে। কারণ 'ট্যারিফ নীতি'র ফলে পণ্যের ওপর অতিরিক্ত দামটা মার্কিন জনগণকেই দিতে হবে। এতে ট্রাম্পের দেশের অর্থনীতিতেই ক্ষতি হবে।