কাবুল, ১৬ আগস্ট: রবিবার তালিবানরা কাবুল দখল করতেই আতঙ্কিত জনগণ আফগানিস্তান ছাড়তে তৎপর৷ সবাই ভিড় করেছেন হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে৷ বিমান দেখতে পেলেই রানওয়ের দিকে ছুটে যাচ্ছে আতঙ্কিত জনতা৷ তবে সেখানে কোনও বিমানের দেখা নেই৷ এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বড় ঘোষণাটি হল তালিবানের আন্তর্জাতিক অফিস দোহা থেকে৷ জিনহুয়া সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জঙ্গি সংগঠনটির মুখপাত্র মহম্মদ নাইম জানালেন, “আমরা কাবুলে (Afghan capital) অবস্থিত বিদেশি, সংস্থা, বিদেশি নাগরিক, সব দেশের দূতাবাস, কূটনৈতিক মিশনের কর্তাদের আশ্বস্ত করছি যে সেখানে তাঁদের কোনও বিপদ নেই৷” তিনি বলেন, তালিবান আন্দোলনের সৈন্যদের কাবুল-সহ সমস্ত শহরের নিরপত্তা বজায় রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ আরও পড়ুন-Afghanistan: আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ, ঘোষণা তালিবানের
প্রাদেশিক রাজধানীগুলি দখলের পর রবিবার সকালে বিভিন্ন দিক দিয়ে কাবুলে ঢুকতে শুরু করে তালিবান৷ যদিও তালিবানরা আগেই ঘোষণা করেছিল যে আফগানিস্তানের রাজধানীতে সামরিকবাবে প্রবেশের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই৷ তবে যেই না কাবুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ল প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফাঁকা পুলিশ চৌকি থানাগুলোর দখল নিল তালিবান৷ পারিষদবর্গ ও ফার্স্ট লেডিকে সঙ্গে নিয়ে আগেভাগেই দেশে ছেড়ে তাজকিস্তানের পথে রওনা হয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি৷ স্বাভাবিক ভাবেই প্রেসিডেন্টে প্রাসাদের দখল নিয়েছে তালিবান৷
যদিও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন৷ পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি যখন দেশ ছাড়েননি তখন দেশবাসীরও ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ তালিবানরাও সাধারণ মানুষকে ভয় পেতে নিষেধ করেছে৷ বরং যারা এই সুযোগে চুরি ডাকাতি করছে তাদের চিনিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছে তালিবান৷ রবিবার কাবুল তুলনামূলক অনেক শান্ত থাকলেও তবে যেখানে সেখানে জ্বলেছে আগুন৷ রাজধানীর আকাশে শুধুই যুদ্ধবিমানের ওড়াউড়ি৷