পর্নহাব (Photo Credits: File Image)

ক্যালিফোর্নিয়া, ১৯ জুন: দুনিয়ার জনপ্রিয়তম পর্ন ওয়েবসাইট 'পর্ন হাব'(Pornhub)-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল ৩৪জন মহিলা। পর্ন হাব-র পেরেন্ট কোম্পানি মাইন্ড গিক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই পর্ন ওয়েবসাইটটি ধর্ষণ (Rape), শিশুদের পর্ন (Child Porn), যৌন পাচার সহ নানা অসম্মতিসূচক যৌনতার ভিডিও দেখিয়ে প্রচুর ডলার রোজগার করে চলেছে। যা বিশ্বের যে কোনও দেশেই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ক্য়ালিফোর্নিয়ার এক আদালতে এই নিয়েই পর্ন হাব-কে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।

ওই ৩৪জন মহিলার আদালতে জানানো অভিযোগ পত্রে এমনও বলা হয়েছে, দুনিয়ার সবচেয়ে বড় যৌন পাচার চক্রের পিছনে আসলে পর্ন হাব-এর মদত রয়েছে। এই নিয়ে এইচিবিও-র এক শো-য়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে। সাফ বলা হয়েছে, শিশুদের পর্ন যেভাবে দেখাচ্ছে পর্ন হাব তা শুধু আইনবিরুদ্ধ নয়, তা পাচার চক্রকেও উতসাহ জোগাচ্ছে। পর্ন হাব-কীভাবে মডেলদের জোর করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনতার খেলায় মত্ত করে আসলে ধর্ষণে মদত দেয় তার প্রমাণও পেশ করার দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলারা। এই ৩৪জন মহিলার অভিযোগগুলো নিয়ে যিনি কেস লড়ছেন, সেই আইনজীবীর সাফ বক্তব্য, পর্ন হাব আসলে বেআইনি সব কিছু আইনের মোড়কে করে চলেছে। ধর্ষণের ভিডিও, শিশুদের পর্ন সব কিছুই হল পর্ন হাব-এর আসল কনটেন্ট।

পর্ন হাব-এর পক্ষ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, অনৈতিক-আইন বিরুদ্ধে কোনওরকম কনটেন্টের বিরুদ্ধে তাদের সংস্থা। ধর্ষণ, শিশু পর্ন একেবারে নিষিদ্ধ তাদের ওয়েবসাইটে। আর জোর করে মডেলদের ধর্ষণের ভিডিও বানানোর অভিযোগও স্রেফ সাজানো বলে জানানো হয়েছে।

পর্ন হাব-এর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রথম নয়। গত বছর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক রিপোর্টেও বলা হয়েছিল, পর্ন হব-এ অসম্মতিসূচক যৌনতা, ধর্ষণ, কম বয়সী মেয়েদের যৌনতা নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও রমরম করে চালানো হচ্ছে। যা মার্কিন আইনের সম্পূর্ণ বিরোধী।