PM Modi Invites Xi to 2026 BRICS Summit

PM Modi-Xi Jinping Meeting: রবিবার তিয়ানজিনে এসসিও সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। শুধু দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কেই নয়, বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে মোদী-জিনপিং বৈঠককে। সাত বছর পর চিনে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, বিনিয়োগ বাড়ানো এবং নীতি স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়ে ভারত-চিন সম্পর্ক আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও মজবুত করার পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে দাবি নয়া দিল্লির। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ( Vikram Misri) জানান, আলোচনায় দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার উপর জোর দিয়েছেন। ভারত ও চিন, বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল দুটি অর্থনীতি, নিজেদের সহযোগিতাকে বৈশ্বিক বাণিজ্য স্থিতিশীলতার অন্যতম ভরকেন্দ্র হিসেবে দেখছেন। মার্কিন শুল্কের প্রভাব নিয়েও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে কথা হয়।

আগামী বছর চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং-কে ভারতে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী বছর ভারতে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমন্ত্রণের জন্য শি জিনপিং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভারতের ব্রিকস সভাপতিত্বে চিনের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।

দেখুন খবরটি

দেখুন মোদী- শিংপিংয়ের ভিডিও

দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্য়ে কী কী নিয়ে আলোচনা হল

বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে আলোচনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। মোদী-জিনপিংয়ের আলোচনায় বিশেষভাবে উঠে আসে ভারতের চিনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই ঘাটতি দাঁড়ায় প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। দুই নেতা ঘাটতি কমানোর জন্য গঠনমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের জন্য চিনের বাজার সহজলভ্য করা ও বাণিজ্য প্রক্রিয়ার জটিলতা কমানো নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

মেক ইন ইন্ডিয়া ও বেল্ট অ্যান্ড রোড

পাশাপাশি দু’দেশই পারস্পরিক বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতের "মেক ইন ইন্ডিয়া" উদ্যোগ এবং চিনের "বেল্ট অ্যান্ড রোড' কৌশল – এই দুই প্ল্যাটফর্মকে ভিত্তি করে যৌথভাবে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হতে পারে। বিশেষত প্রযুক্তি, উৎপাদন ও নবীকরণযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রনেতা জোর দিয়েছেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নীতিতে স্বচ্ছতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি পূর্বাভাসযোগ্য নীতি কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। এতে ব্যবসায়িক আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক সহযোগিতা সহজ হবে।

সীমান্ত বিরোধী ও গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা

উল্লেখযোগ্য, সাম্প্রতিককালে ভারত-চিন সীমান্ত বিরোধ ও গালওয়ান সংঘর্ষের কারণে চাপে রয়েছে। এই বৈঠক মূলত অর্থনৈতিক সম্পর্ককে রাজনৈতিক উত্তেজনা থেকে আলাদা করে দেখার প্রচেষ্টা। বিশ্লেষকদের মতে, যদি অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ে, তবে তা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বড় ভূমিকা নেবে।