ইমরান খান(Photo Credit: IANS)

ইসলামাবাদ, ৮ জুলাই: আর্থিক সংকটে দেশ, তাই আমেরিকায় গিয়ে বিলাস বহুল হোটেলের আয়েশি বন্দোবস্ত ছেড়ে রাষ্ট্রদূতের বাসভবনকেই বাছতে চলেছেন ইমরান খান। হ্যাঁ একদম ঠিকঠাক পড়েছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister) তথা প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইমরান খানকে (Imran Khan) নিয়েই কথা হচ্ছে। আগামী ২১ জুলাই তিনদেনর বিদেশ সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান। যেহেতু দেশে আর্থিক অনটন চলছে তাই অর্থ বাঁচাতে এসময়টা আমেরিকায় বসবাসকারী পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ খানের (Ambassador Asad Majeed Khan') সরকারি বাসভবনেই থাকবেন ইমরান খান। এদিকে এই বন্দোবস্ত নিয়ে বেশ সন্দিহান মার্কিন গোয়েন্দারা। আরও পড়ুন-ব্ল্যাকমেলিংয়ের সুযোগে ২০জন ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ, গ্রেপ্তার স্কুল শিক্ষক

ইমরান যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে হোটেলে না উঠে দূতের বাসভবনে থাকবেন, তার খবর প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন। তবে ইমরান খান ও সেদেশের সরকার অর্থের অপচয় কমাতে চাইলেও বিষয়টি ভাল নজরে দেখছে না ওয়াশিংটনের প্রশাসন (Washington)। এমনিতে আমেরিকা কোনও বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান এলে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় সেদেশের সিক্রেট সার্ভিস। অন্যদিকে নগর প্রশাসন লক্ষ রাখে, বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধানের যাতায়াতের ফলে শহরের স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে কিনা। প্রতি বছর ওয়াশিংটনে বিদেশী রাষ্ট্রের কয়েকশ প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী আসেন। তাঁদের উপস্থিতিতে যাতে শহরের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়, সেজন্য যৌথভাবে কাজ করে নগর প্রশাসন ও আমেরিকার ফেডারেল গভর্নমেন্ট।

এদিকে পাকিস্তানের দূতের সরকারি বাসভবন ওয়াশিংটনের একেবারে কেন্দ্রস্থলে। সেখানে আরও এক ডজন দূতাবাস আছে। ভারত, তুরস্ক এবং জাপানের দূতেরাও সেখানেই থাকেন। কোনও বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান আমেরিকায় গেলে সেদেশের সরকারের নানা দপ্তরের কর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু দূতের সরকারি বাসভবনে অত বেশি লোক যেতে পারবেন না। অত জায়গাই নেই সেই বাড়িতে। ফলে ইমরানকে বার বার দূতাবাসে আসতে হবে। সেখানে তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের ব্যস্ত সময়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলে কথা, এমনিতেই সন্ত্রাসের শিরোমণি হিসেবে পাকিস্তান একেবারে তালিকার উপরের দিকে থাকা একটি দেশ। সেি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হোটেল ছে়ড়ে দূতের বাড়িতে গেলেস সিক্রেট সার্ভিসের নজরদারিও যে বাধা পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।