নিউইয়র্ক, ৬ এপ্রিল: মার্কিন মুলুকে মহমারীর চেহারা নিয়েছে করোনা। সব থেকে খারাপ অবস্থায় নিউইয়র্ক (New York) শহর। সেখানে একদিনেই চার হাজার ১৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ২ হাজার ৩১ জন। টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরে আমেরিকার অবস্থা যা হয়েছিল, আগামী সপ্তাহে ফের সেই মর্মান্তিক পরিস্থিতি দেখবে গোটা দেশ। করোনাভাইরাসের লাগামহীন সংক্রমণ দেখে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন মুলুকের চিকিৎসকরা। নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রিউ কুমো বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তাঁর রাজ্যে চূড়ান্ত ভয়াবহতা নিয়ে আসবে করোনাভাইরাস। আগেভাগেই রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন তিনি। আগামী সাতদিন যে কি বিপর্যয়ের মধ্যে কাটবে তা সামান্য হলেও আঁচ করতে পারছে নিউইয়র্কের বাসিন্দারা।
আগামী কয়েকদিনে হু হু করে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যাবাড়বে। দু একদিন না গেলে সেই পরিস্থিতির একটা মোটামুটি ছবি বোঝা সম্ভবন নয়। হয় খুব খারাপ হবে, নাহলে ধীরে ধীরে ইতিবাচক দিকে এগোবে পরিস্থিতি। তবে পরিসংখ্যানবিদদের তথ্য পেলে নিয়ম করে সাংবাদিক বৈঠক করে মারণ রোগে আক্রান্ত ও মৃতদের তথ্য জানাবেন অ্যান্ড্রিউ কুমো। তিনি আরও বলেন, “গল্পটি আগেভাগেই আঁচ করতে পেরেছেন নিশ্চয়। আমরা সবাই মিলে একটা সিনেমা দেখছি যেন। পরের দৃশ্যটা ঠিক কি, তা জানতে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছি। এই পরিস্থিতিতে সিনেমা যত শেষের দিকে আসবে তত চিত্রনাট্য সম্পর্কে আপনি আরও বেশি জানতে পারবেন।” রাজ্য যত বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাল আছে এই বিপর্যয়ের সময় তারা একই সঙ্গে একই নিয়মে অধীনে চলবে। মাস্ক, ওষুধ, কিট, গাউন যা যেখানে জরুরি সব সমানবাবে ভাগ করে দেওয়া হবে। জাতীয় স্তরে বিষয়টি যাতে একই ধারায় চলে তা ফেডারেল কর্তাদের দেখতে অনুরোধ জানিয়েছেন নিউইয়র্কের গভর্নর। আরও পড়ুন-Indian Zoos On High Alert: মার্কিন মুলুকের বাঘিনী নাদিয়ার শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ, ভারতের সমস্ত চিড়িয়াখানায় জারি চূড়ান্ত সতর্কতা
তিনি বলেছেন, কোন এলাকায় রোগীর সংখ্যা কেমন আক্রান্ত কত। তেমন বুঝে সেখানে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ কতে হবে। মার্কিন সার্জেন জেনারেল অ্যাডামস সতর্ক করেছেন, “যে হারে মানুষ মরছে তাতে আগামী সপ্তাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ হতে চলেছে। যা পার্ল হারবারের ঘটনাকে মনে করাবে। ৯/১১ –র স্মৃতিকে ফেরাবে। এর থেকেও কঠিন সময় আসতে চলেছে যা মার্কিনীরা তাদের জীবনে আগে কখনও দেখেনি। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে হলে প্রত্যেককেই নিজের নিজের কাজটা করতে হবে।”