Nepal Protest 2025: নেপালে ফেসবুক, ইউ টিউব সহ ২০টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে নেপালে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্য়ু হল। এই কাণ্ডে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক পদত্যাগ করলেন। এদিন সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে বালুওয়াটারে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি-র সরকারি বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। বৈঠকের পরেই পদত্যাগের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখাক (Home Minister Ramesh Lekhak)। আরও বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তাকে সরানো হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ওলি-র ইস্তফা দাবি করেছেন। রাজধানী কাঠমান্ডু সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এদিন রাত অবধি কার্ফু জারি করা হয়েছে। এদিকে, আন্দোলনকারীরা আবার আগামিকাল, মঙ্গলবার সকালে সংসদ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কী কারণে এত বড় কাণ্ড
এদিন দুপুরে শুরু তরুণ-যুব প্রজন্মদের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু সময় যত গড়াতে থাকে ততই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রতিবাদের থেকে দেশে দুর্নীতি নিয়ে স্লোগান ক্রমশ বাড়তে থাকে। এরপর বিক্ষোভকারীরা কাঠমান্ডুতে দেশের সংসদ ভবনে আগুন ধরানোর চেষ্টা করা হলে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে পুলিশ এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এরপর দেখা যায়, রাস্তায় পড়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন তরুণের মরদেহ, চাপচাপ রক্ত, বহু জুতো। এখনও পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
দেখুন খবরটি
Home Minister Ramesh Lekhak is likely to resign. He decided to step down after 19 people were killed in police crackdowns on Gen Z-led protests against corruption. A cabinet meeting is currently underway.#Nepalprotest pic.twitter.com/KVNpQqNGKO
— Saurabh Sharma (@saurabhsherry) September 8, 2025
ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই উত্তাল পরিস্থিতি
সোমবার দুপুরে নেপালের সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেপালের তরুণ, কিশোররা (জেন জি-রা)। মুখে কালো কাপড় ঢাকা দিয়েও অনেককে জড়ো হতে দেখা যায়। প্রতিবাদীরা ক্রমশ সংসদ ভবনের সামনে এগিয়ে যেতে থাকে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভবনের দিকে এগোতেই পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এরপরও থামানো যায়নি তাদের। নিউ ভানেশ্বরে (New Baneshwar) সংসদ ভবনের একেবারে সামনে থেকে প্রতিবাদীরা আগুন ছোড়ার চেষ্টা করে। সংসদ ভবনের গেট আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার পর নিরাপত্তা বাহিনীকে ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ এরপর গুলি চালাতে শুরু করে। নামানো হয় সেনা। পুলিশের গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়তে থাকেন একের পর এক বিক্ষোভকারীরা।
টিঙ্কুনে চৌক ও সিংহ দরবার-সহ একাধিক এলাকায় রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।