Nepal Social Media Ban: ইউ টিউব, ফেসবুক, এক্স সহ ২৬টি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নেপাল সরকার। এখন নেপালে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এক্স (পূর্বের টুইটার), হোয়াটসঅ্যাপ, রেডিট, লিঙ্কডইন, স্ন্যাপচ্যাটসহ একাধিক বড় প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। গতকাল থেকে এই নিয়ম কার্যকর করেছে প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা অলি নেতৃত্বাধীন নেপাল সরকার। কিন্তু কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা? নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্ল্যাটফর্মগুলো রেজিস্ট্রেশন করেনি। যা দেশের সুপ্রিম কোর্টের আইন বিরোধী কাজ। সোশ্যাল মিডিয়া ডাইরেক্টিভ ২০৮০ অনুযায়ী প্রতিটি প্ল্যাটফর্মকে নেপালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং স্থানীয় এক জন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিয়োগ করতে হবে।
কী কীরণে এই নিষেধাজ্ঞা
নেপাল সরকার এই বিষয়ে গত ২৮ আগস্ট সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। যার মেয়াদ শেষ হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর। বড় প্ল্যাটফর্মগুলো কোনো সাড়া না দেওয়ায় সরকার আইনি ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছি, অনলাইনে সব দেশি-বিদেশি প্ল্যাটফর্মকে নেপালি কর্তৃপক্ষের কাছে রেজিস্টার করতে হবে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা নেই যেসব প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউ টিউবের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু হলেও, টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিম্বাজ ও পোপো লাইভ নেপালের আইন মেনে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন করায় তাদের কোনও শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে টেলিগ্রাম ও গ্লোবাল ডায়েরি অ্যাপ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অনলাইন ঘৃণা, ভুয়ো খবর, অনলাইন অপরাধ বা সাইবার-ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কী কী প্রভাব পড়বে
প্রবাসে কর্মরত বা শিক্ষারত প্রায় ৭০ লক্ষাধিক নেপালি হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক মেসেঞ্জারের মতো মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে তাদের ওপর সরাসরি আঘাত পড়ছে। ফেসবুক সম্প্রতি নেপালে মনিটাইজেশন চালু করেছিল, ফলে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আয় বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নেপালিজ জার্নালিস্ট ফেডারেশন (FNJ) এই পদক্ষেপকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।