ওয়াশিংটন, ২৭ অক্টোবর: সূর্যের আলো চাঁদের যে অংশে আলোকিত করে সেখানেই আছে জল। জলের অণুর খোঁজ মিলেছে চাঁদের গহ্বরে। সত্যি সত্যিই চাঁদে জল আছে। নাসার (NASA) সোফিয়া অর্থাৎ স্ট্র্যাটোস্ফরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্র্যারেড ফর অ্যাস্ট্রোনমি একপ্রকার নিশ্চিত করেছে যে চাঁদের ক্লেভিয়াস গহ্বরে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মৌল জোট বেঁধে H20 জলের অণু তৈরি করেছে। চাঁদের পিঠে হাইড্রোজেনের খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু এই হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সঙ্গে কোন রাসায়নিক ফর্মুলায় জোট বেঁধেছে তা এতদিন জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে যুগান্তকারী খোঁজ দিয়েছে নাসা। চাঁদের বুকে আদৌ জল আছে কি না তানিয়ে এতদিন হইচই থাকলেও এবার নাসা তা প্রমাণ দিল।
এবার পাকাপাকিভাবেই নাসার ঘোষণা, চাঁদে জল আছে। তবে অন্ধকার দিকে নয়, সূর্যের আলোয় আলোকিত দিকেই রয়েছে জলের অস্তিত্ব। ক্লেভিয়াস ক্রেটারে ১২ আউন্সের মতো জল জমে আছে। চাঁদের মাটি ও ধূলিকণায় এক ঘনমিটার জায়গা অবধি জায়গাজুড়ে জলের অণু ছড়িয়ে আছে। চাঁদে জল আছে কি না নিয়েই চলেছে দীর্ঘ গবেষণা এতদিনে নেচার অ্যাস্ট্রনমি জার্নালে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আগে মনে করা হত চাঁদের অন্ধকার পিঠ অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুর দিকে জল জমে থাকলেও থাকতে পারে। সোলার সারফেস অর্থাৎ চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে সেখানেই রয়েছে জল। এই গবেষণাই অনেক দূর এগোনোর সূত্রপাত মনে হয়। চাঁদের দক্ষিণ পিঠে দ্বিতীয় বৃহত্তম গহ্বর ক্লেভিয়াস। রে ক্রেটারের দক্ষিণে এই গহ্বরের নাম রাখা হয়েছে জার্মান গণিতজ্ঞ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ক্লেভিয়াসের নামে। আরও পড়ুন-Soumitra Chatterjee Health Update: আরও সঙ্কটজনক অবস্থা প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের, রয়েছেন এন্ডোট্র্যাকিয়াল ইনটিউবেশনে
What's four stories tall, has a sunshield the size of a tennis court, & will seek to answer some of humanity's deepest questions? 🔍✨
In the new episode of our Curious Universe podcast, meet @NASAWebb, our cosmic time machine. 🌌
🎧 Listen & subscribe: https://t.co/KgSQExqgut pic.twitter.com/MJE7paNHBw
— NASA (@NASA) October 26, 2020
চাঁদের হাইড্রোজেন আয়ন এসেছে প্রমাণ আগেই মিলেছিল। চাঁদের অক্সিজেনের উপস্থিতির প্রমাণ আগেই মিলেছে। ইসরোর চন্দ্রযান-১ এর পাঠানো ছবি থেকেই জানা গেছে যে চাঁদের মেরুতে মরচে পড়েছে। তবে সবে সবে যে মরচে ধরা শুরু হয়েছে তা-ও নয়। কয়েক কোটি বছর ধরেই চাঁদে মরচে পড়ছে। দুই মেরু ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে। চাঁদে থাকা জলের সঙ্গে অক্সিজেনের বিক্রিয়াতেই এটা সম্ভব হয়েছে।