জোহানেসবার্গ, ২ অগাস্ট: জোহানেসবার্গের অদূরে ছোট্ট শহর ক্রুগারসডর্পের খনির মধ্যে একই সঙ্গে গণধর্ষিতা ৮ তরুণী। এই খবরে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে (South Africa)শুরু হয়েছে হইচই। সোমবার গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ায় ৪০ জনেরও বেশি অভিযুক্তকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। এই গণধর্ষণের ঘটনাকে ‘জাতির লজ্জা’ বলে অভিহিত করেছেন পুলিশমন্ত্রী। আরও পড়ুন-SSC Recruitment Scam: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকা তাঁর নয়, জানালেন অর্পিতা
গত বৃহস্পতিবার নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে ক্রুগারসডর্পের এক খনির মধ্যে। সেখানে একটি ভিডিও শ্যুটের প্রস্তুতি চলছিল। সেট প্রায় রেডি। শ্যুট শুরুর আগের মুহূর্তে বন্দুকধারীদের একটি দল সেখানে হানা দেয়। শ্যুটিঙে অংশগ্রহণকারী ৮ তরুণীর উপরে চলে গণধর্ষণ। সেই নারকীয় ভিডিও শ্যুট করতে ক্রু মেম্বারদের বাধ্য করা হয়। এমন লজ্জাজনক ঘটনায় হতবাক গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই প্রসঙ্গে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মলনে পুলিশমন্ত্রী ভিকি সেল বলেছেন, “ক্রুগার্সডর্পে যা ঘটেছে তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। নির্যাতিতাদের অনেককেই দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি ভোগ করতে হবে। কয়েকদনের স্থায়ী ক্ষতি হয়ে গেল।”
এই গণধর্ষণের দায় বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ুপরে চাপিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের ভাষায় যাদের জামা জামা বলা হচ্ছে। এরপর খনি এলারায় অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ অভিযুক্ত পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের সময় নিকেশ হয়েছে। একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
সোমবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। এদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুপ্রবেশ ও চুরির অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ প্রধান ফেনী মাসেমোলা বলেছেন, গণ ধর্ষণে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি।
এদিকে খবর পেয়েই আদালতের বাইরে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। হাতের পোস্টার লেখা, “ধর্ষকদের জন্য জামিন নেই", "আমি কি পরবর্তী?" এবং "আমার শরীর কোন অপরাধের দৃশ্য নয়।”