Maldives Row: 'ভারত-বিরোধী' মন্তব্যের জেরে বিতর্ক, তার মাঝেই দিল্লিতে আসছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
Photo Credits: FB

প্রতিবেশী দেশে মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের (Maldives-India Row) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লাক্ষাদ্বীপ (Lakshadweep) সফরের ছবি ঘিরে তিন মালদ্বীপ মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের পর থেকেই শুরু হয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের টানাপড়েন। এই পরিস্থিতির মাঝেই ভারত সফরে আসতে চান মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজু। জানুয়ারির শেষেই মুইজু আসতে পারেন ভারতে। তবে জানা যাচ্ছে, মালদ্বীপ রাষ্ট্রপতির এই ভারত সফরের প্রস্তাব দুই দেশের সাম্প্রতিক সম্পর্কের অবনতির আগেই করা হয়েছিল।

গত নভেম্বরেই মালদ্বীপে নতুন সরকার গড়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে 'চিনপন্থী' মহম্মদ মুইজু সরকার গঠন করেছে। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দের মাঝেই চিন সফরে গিয়েছেন মুইজু (Mohamed Muizzu)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে প্রথমবার চিন সফরে গিয়েই তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল সে দেশের ভূয়সী প্রশংসা করতে। বললেন, চিন হল মালদ্বীপের অত্যন্ত মূল্যবান বন্ধু। মালদ্বীপের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে চিন। চিন সফর থেকে ফিরে ভারত সফরে আসার কথা মুইজুর। কিন্তু তারই মাঝে ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কের এই টানাপড়েনের জেরে প্রেসিডেন্টের সফর আদেও বাস্তবায়িত হয় কিনা তা ই দেখার।

একদিকে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের প্রস্তাবের কথা জানা যাচ্ছে অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজুকে (Mohamed Muizzu ) অপসারণের দাবি উঠতে শুরু করেছে। মালদ্বীপের সংখ্যালঘু নেতা আলি আজিম রাষ্ট্রপতি মুইজুকে অপসারণের দাবি জানান। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের পর থেকে জলঘোলা শুরু হয়। ওই ঘটনার পর অনাস্থা ভোট সহ মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজুকে অপসারণের জন্য আহ্বান জানান আলি আজিম।

গত ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্র সৈকতের নৈসর্গিক সৌন্দর্যও উপভোগ করেন তিনি। সেই ছবিও মোদী শেয়ার করেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। আর যা ঘিরেই মালদ্বীপ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েনের সূত্রপাত। মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ভারতকে অস্বাস্থ্যকর, অপরিষ্কার দেশ হিসাবে কটাক্ষা করেন। সেই সঙ্গে আরও বলেন, পর্যটন ব্যবসায় মালদ্বীপকে কখনই টেক্কা দিতে পারবে না ভারত। যদিও তিন মন্ত্রীর মন্তব্যের দায়াভার গ্রহণ করেনি মালদ্বীপ সরকার। ওই মন্তব্য মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত মতামত দাবি করে ৩ মন্ত্রীকের বরখাস্ত করেছে সে দেশ।