George Floyd Protests: মার্কিন মুলুকে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে নয়া মোড়, কাপড়ে মুড়ল ভারতীয় দূতাবাস লাগোয়া গান্ধীমূর্তি
বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন মুলুকের ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। দূতাবাসের সামনেই রয়েছে গান্ধীমূর্তি। এদিন দেখা যায়, কালো মানুষের লড়াইয়ে শামিল বিক্ষোভকারীরা সাদা কাপড়ে মুড়ে দিয়েছে গান্ধীমূর্তি ও তার পাদদেশ। কে বা কারা গান্ধীমূর্তিকে এভাবে অসম্মান করল তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তথ্য বলছে, অপরাধীদের চিহি্নিত করতে তদন্তে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকের মার্ক পুলিশ। মঙ্গলবার কাকভোরে চুরি রুখতে গিয়ে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যাপ্টেন সেন্ট লুইস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৪ জুন: বর্ণ বিদ্বেষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে আমেরিকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় এক অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল মার্কিন মুলুকের ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। দূতাবাসের সামনেই রয়েছে গান্ধীমূর্তি। এদিন দেখা যায়, কালো মানুষের লড়াইয়ে শামিল বিক্ষোভকারীরা সাদা কাপড়ে মুড়ে দিয়েছে গান্ধীমূর্তি ও তার পাদদেশ। কে বা কারা গান্ধীমূর্তিকে এভাবে অসম্মান করল তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর তথ্য বলছে, অপরাধীদের চিহি্নিত করতে তদন্তে শুরু করেছে মার্কিন মুলুকের মার্ক পুলিশ। মঙ্গলবার কাকভোরে চুরি রুখতে গিয়ে খুন হন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ক্যাপ্টেন সেন্ট লুইস।
উল্লেখ্য, জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত আমেরিকার পঞ্চমতম মৃত্যুটি হল সেন্ট লুইসের। মিনিয়াপলিস পুলিশের হাতে সপ্তাহখানেক আগেই খুন হন আফ্রিকান আমেরিান জর্জ ফ্লয়েড। তাঁর হত্যাদৃশ্যের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা বিশ্ব। এই নৃশংস ঘটনা একই সঙ্গে সহিংস ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে স্বামীর মৃত্যুর প্রায় আট দিন পরে, গত কালই প্রথম বার প্রকাশ্যে দেখা গেল তাঁকে। মাইক হাতে রক্সি ওয়াশিংটন। মিনিয়াপোলিসের সিটি হলে জর্জ ফ্লয়েডের স্মরণসভায় তখন উপচে পড়ছে ভিড়। মায়ের ঠিক পাশেই সাদা টপ পরা জর্জের ছ’বছরের মেয়ে জিয়ানা। তার দিকে তাকিয়েই রক্সি ভাঙা গলায় বললেন, ‘‘মেয়েটা আমার চোখের সামনেই বড় হবে। এক দিন গ্র্যাজুয়েটও হবে। কিন্তু জর্জের কিছুই দেখা হল না।’’ আরও পড়ুন-South Korea: করোনা আক্রান্তদের জন্য অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিরের অনুমোদন দক্ষিণ কোরিয়ার
বিক্ষোভকারীদের দমন করতে যখন সেনা নামানোর হুমকি দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তখন টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্পের ছোট মেয়ে টিফানি ট্রাম্প। আজ ট্রাম্পের প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এস্পারও ফ্লয়েড-খুনের ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত সব পুলিশ অফিসারকেই এই খুনের জন্য দায়ী করা উচিত।’’ ফ্লয়েড-খুনের তদন্তে গভীরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সেনেটও। আমেরিকার পরিস্থিতি নিয়ে আজ উদ্বেগ প্রকাশ করে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেবার্ট বলেন, ‘‘দুঃখজনক এই মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু চাইলেই এড়ানো যেত।’’ চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের আশা, এই বর্ণবিদ্বেষ-জনিত সমস্যা সমাধানে শীঘ্রই সুচিন্তিত পদক্ষেপ করবে ওয়াশিংটন।